অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তির উপায়

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৯  সেপ্টেম্বর   ২০১৬

অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তির উপায়

অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তির উপায়

এখন ভাদ্র মাসে সূর্যের রোদ প্রখর। এই রোদে বাইরে-যাওয়া আসা মানেই ঘেমে গিয়ে শরীরে বিরক্তিকর অবস্থা সহ্য করা।

আর যাদের বেশি ঘাম হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাদের জন্য তো বৃষ্টি ভেজার মতো ঘামে ভেজা লাগে। অতিরিক্ত ঘামের চোটে লজ্জায় পড়তে হয় কখনো সখনো। সুতরাং জেনে নিন বেশি ঘাম হলে কী করবেন।

আপেল সিডার ভিনেগার : অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে আপেল সিডার ভিনেগার। দুই চা-চামচ সাধারণ ভিনিগারের সঙ্গে এক চা-চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন দিনে তিনবার এই মিশ্রণ খান। খাবার খাওয়ার অন্তত আধঘণ্টা আগে খেলে ভালো ফল পাবেন। কিংবা মিশ্রণটি গোসলের আগে শরীরে মাখতে পারেন।

আলু : শরীরের পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখতে পারে আলু। ফলে ঘাম কম হয়। গোল করে আলুর টুকরো কেটে নিন। যে সব জায়গায় ঘাম বেশি হয় সেখানে ১৫ মিনিট ধরে ঘষুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আলু ত্বকের কালো ছোপও দূর করতে পারে।

কর্নস্টার্চ ও বেকিং সোডা : বেকিং সোডার সঙ্গে কর্নস্টার্চ ভালো করে মিশিয়ে নিন। কোথাও বেরোনোর আগে এই মিশ্রণটি শরীরে লাগান। ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

নারকেল তেল : একটি বাটিতে নারকেল তেল নিয়ে তাতে ১০ গ্রাম কর্পূর মিশিয়ে নিন। শরীরের যেসব জায়গায় ঘাম বেশি হয় সেখানে লাগাতে হবে মিশ্রণটি। ঘণ্টাখানেক পরে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

টমেটো : অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন এক গ্লাস করে টমোটোর রস খেতে পারেন।

আঙুর : এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। তাই প্রতিদিন আঙুর খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। অতিরিক্ত ঘামের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন আপনি।

দুর্বা ঘাস : প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস দুর্বা ঘাসের রস খান। এই রস শরীরে অ্যাসি়ডের পরিমাণ কমায়, ফলে ঘাম কম হয়। এর মধ্যে থাকা ভিটামি বি৬, প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২ শরীরের পক্ষেও উপকারী।

এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। চা-কফি বেশি খাবেন না। কড়া ডিওডোরেন্ট বা সাবান ব্যবহার পরিহার করুন। গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন না। গরম পানীয় পরিহার করুন। অ্যালকোহল, ড্রাগ এবং সিগারেট থেকে বিরত থাকুন। বেশি মসলাযুক্ত বা চিনিযুক্ত কিংবা রাসায়নিকভাবে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যাদি এড়িয়ে চলুন। সিনথেটিক কাপড় যেমন নাইলন্স এবং পলিস্টারের মতো কাপড়ের পোশাক এড়িয়ে চলুন। আপনার শরীর শীতল তাপমাত্রায় রাখার চেষ্টা করুন।

 

 

Related posts