শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১২ ডিসেম্বর ২০১৬
ভাইরাস জ্বরে পড়লে মেথির চা উপকারে আসতে পারে।চা না হলে অনেকের চলেই না। জ্বরের বিরুদ্ধে চা কিন্তু দারুণ কার্যকর। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়টাতে হুটহাট করে ভাইরাসজনিত জ্বরে পড়তে পারেন। যেকোনো বয়সের যে কারও এ জ্বর হঠাৎ চলে আসে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বাজারে এ ধরনের জ্বরের অনেক ওষুধ আছে। কিন্তু ভাইরাসজনিত জ্বর থেকে সুরক্ষায় কিছু হারবাল উপাদান আছে, যা খেলে এ ধরনের জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ধরনের মৌসুমি সংক্রমণ থেকে প্রতিকার পাওয়ার কিছু উপায় জেনে নিন:
ধনে চা: মৌসুমি জ্বর হলে ধনের চা তৈরি করে খেতে পারেন। এতে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী উপাদান আছে, যা প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা ভিটামিন ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
তুলসি চা: ভাইরাস জ্বর নিয়ে তুলসি পাতার চা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে। কারণ, এতে নানা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও জার্মিডিক্যাল ও ফাংগিসিডালের উপস্থিতির কারণে ভাইরাল জ্বরে তুলসী পাতার চা দারুণ কার্যকর।
আদা চা: হঠাৎ ভাইরাস জ্বরে পড়লে আদা চা অবশ্যই খাবেন। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। প্রদাহ ও বেদনানাশক গুণও রয়েছে আদায়। শুধু তা-ই নয়, জ্বর কমাতেও ভালো কাজ করে আদা। আদা চা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মেথি চা: মেথিতে আছে ডিওসজেনিন, স্যাপোনিনস, অ্যালকালয়েডসের মতো নানা উপাদান, যা সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। এ সময় ভাইরাস জ্বর হলে মেথির চা খেলে কাজে লাগবে। নিয়মিত মেথি খেলে সর্দি-কাশি পালায়। লেবু ও মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ মেথি মিশিয়ে খেলে জ্বর পালাবে। মেথিতে মিউকিল্যাগ নামের একটি উপাদান আছে, যা গলাব্যথা সারাতে পারে। অল্প পানিতে মেথি সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার সংক্রমণ দূর হয়।
হারবাল চা: হারবাল চায়ে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। জ্বর হলে এই চা উপকারী। শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি জোগায় হারবাল চা। দিনে দুই বা তিনবার গরম চা আপনাকে অনেকটা আরাম দিতে পারে চাইলে চায়ের মধ্যে লেবুর রস বা লবঙ্গজাতীয় জিনিস যোগ করতে পারেন