‘৭ নভেম্বরের মহানায়ক কর্নেল তাহের’: তথ্যমন্ত্রী

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ৮ নভেম্বর  ২০১৬

‘৭ নভেম্বরের মহানায়ক কর্নেল তাহের’: তথ্যমন্ত্রী

‘৭ নভেম্বরের মহানায়ক কর্নেল তাহের’: তথ্যমন্ত্রী

হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ৭ নভেম্বর পালন করার নৈতিক অধিকার বিএনপির নেই। কারণ ৭ নভেম্বরের ইতিহাস বলে জিয়া কাপুরুষ, স্বার্থপর, খলনায়ক ও বিশ্বাসঘাতক। ৭ নভেম্বরের মহানায়ক কর্নেল তাহের।

সোমবার রাজধানীর শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে জাসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কর্নেল তাহেরের ছোট ভাই ড. আনোয়ার হোসেন, সিপাহী বিদ্রোহের নেতা ফ্লাইট সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম, সিপাহী বিদ্রোহের নেতা হাবিলদার আবদুল বারেক, জাসদের সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

ইনু বলেন, ‘৭ নভেম্বর উচ্চাভিলাসী অফিসারদের ক্ষমতার জন্য কামড়াকামড়ি, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীসহ অবৈধ ক্ষমতা দখলদারের বিরুদ্ধে সিপাহীরা বিদ্রোহ করে। এ রকম উত্তপ্ত ও অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিদ্রোহী সিপাহীরা বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটিয়ে ফেলে, তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তাদের পাশে দাঁড়ান কর্নেল তাহের। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সিপাহীদের ঐক্যবদ্ধ করে বিদ্রোহকে শান্তিপূর্ণ পথে পরিচালিত করেন।’

তিনি বলেন, ‘বিদ্রোহী সিপাহীরা খালেদ মোশাররফকে হত্যা করেনি। খালেদ মোশাররফের হত্যাকারীরা চিহ্নিত ও আত্মস্বীকৃত।’

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসও না, সৈনিক হত্যা দিবসও না। জিয়া শুধু সিপাহীদের সঙ্গেই নয়, সেনাবাহিনীর সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেন। এক অফিসারের বিরুদ্ধে আরেক অফিসারকে ক্ষেপিয়ে তোলেন।’

এ সময় তিনি জিয়ার আমলে কতজন অফিসার ও সৈনিককে ফাঁসি দেওয়া হয়, নিখোঁজ রয়েছে, চাকরিচ্যুত বা কারাবন্দি করা হয়- তা উদঘাটনের জন্য তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান।

ইনু বলেন, ‘কর্নেল তাহের দেশপ্রেমিক। জিয়া যে মামলায় বিচারের নামে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছেন, সেই মামলা ছিল সাজানো। আর বিচার ছিল প্রহসনমূলক।’

 

Related posts