শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৭জুন ২০১৭
ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ঐতিহাসিক ৭ জুন উপলক্ষে আজ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেছেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ জুন এক অবিস্মরণীয় দিন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬-দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়।
তিনি বলেন, বাঙালির মুক্তিসনদ ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে এদিন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহিদ হন।
প্রধানমন্ত্রী এই দিনে ঐতিহাসিক ৭ই জুনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে জাতির পিতা ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সরকার বিরোধী সকল দলের সভায় ঐতিহাসিক ৬-দফা প্রস্তাব পেশ করেন। দেশে ফিরে তিনি ৬-দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন। বাংলার মানুষ ব্যাপকভাবে ৬-দফার প্রতি সমর্থন জানান। ৬-দফা হয়ে ওঠে দেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ। ৬-দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার ৬-দফার রূপকার বঙ্গবন্ধুকে ৮ মে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছি। রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করে দেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার মধ্যদিয়ে ৭ জুনের শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব, ইনশাআল্লাহ।