‘৫ জানুয়ারির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে’ঃ এমাজউদ্দীন আহমদ

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ৯   ডিসেম্বর  ২০১৬

‘৫ জানুয়ারির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে’ঃ এমাজউদ্দীন আহমদ

‘৫ জানুয়ারির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে’ঃ এমাজউদ্দীন আহমদ

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে যে প্রতারণা করা হয়েছে আগামী নির্বাচনে যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন  রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটে মহান বিজয় দিবস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কলাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীর বিক্রম), খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

ড. এমাজউদ্দীন বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। তা ছাড়া ৫ জানুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে যে প্রতারণা করা হয়েছে, সেটার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন যদি ৫ জানুয়ারির মতো হয় তা হলে সেই নির্বাচন হবে অর্থহীন। যা আত্মহত্যার শামিল। প্রধানমন্ত্রী কোনো ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছেন তা স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে পরিষ্কার করতে হবে, আগামী নির্বাচন কোনো ধরনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। মধ্যবর্তী নির্বাচন না, ২০১৯ সালের নির্ধারিত নির্বাচন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার সরানোর বিষয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, হঠাৎ লুই আই কানের নকশার গুরুত্ব পেল কেন! আসল কথা হলো জিয়ার মাজার সরানো হবে। এটা করা হলে জাতি তাদের ঘৃণার চোখে দেখবে, আর সেটা হবে তাদের রাজনীতিক ভুল সিদ্ধান্ত।

নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগের রাত আগে পর্যন্তও সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে, নির্বাচনের দিন কী হবে সেটাই দেখার বিষয়।

আগামী সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে, আগের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি দলীয় সরকারের অধীনে থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। সেটাই স্বাভাবিক।

বিএনপির যুগ্মমহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হলো সেই দল যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেও ছিল, আবার বিপক্ষেও ছিল। একদিকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে, অন্যদিকে রাজাকার মন্ত্রী করে’।

 

 

 

Related posts