শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২১  অক্টোবর  ২০১৬

শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে

শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে

হেমন্তের শুরুতেই রাজধানীর কাঁচাবাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। দামও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। সবজির আগাম আগমনে বেজায় খুশি ক্রেতারাও। আগামী কয়েক সপ্তাহে এ দাম আরো কমবে বলে ব্যবসায়ীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বাজারে দেখা গেছে আলু ও রসুনের দাম সামান্য বাড়লেও বেশির ভাগ সবজির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে।

গতকাল সকালে রাজধানীর বেশ কটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। আর পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকায়। আর রসুনের দাম কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মহাখালির কাঁচামাল ব্যবসায়ী আকমল মিয়া জানান, সিম, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পুইশাক, লালশাক পালংশাকসহ বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বাড়ছে। বাজারে শাক-সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি সবজির দাম কমেছে। এখনো অধিকাংশ সবজির দামই ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। শীমের দাম কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকায়। আকমল জানান, সবজির দাম আরো কমবে।

কচুক্ষেত ও মহাখালি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ১০০-১১০ টাকা, বরবটি -৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা, বেগুন ৪০-৫০, টমেটো ৯০-১০০টাকা, কাকরোল ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৩৫-৪৫ টাকা, মুলা ৩০-৪০, করলা ৪৫-৫০ টাকা, কচুর লতি ও কচুমুখি ৪০-৫০, শসা ৫০, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, পুরাতন আলু ২৮-৩০ টাকা, নতুন আলু ১২০-১৩০ টাকা, দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পুইশাকের প্রতি আটি ২০-২৫ টাকা, পালংশাক ১০-১৫ টাকা, লাউশাক ২৫-৩০ টাকা, লালশাক ১০-১২, মুলাশাক ১০-১২, কলমিশাক ১০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪৫-৫০ টাকা, ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা, পাতাকপি ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচাকলার হালি ২৫-৩০ টাকা এবং ১০০ গ্রাম ধনে পাতা ২০-২৫ টাকা।

বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯০-১০০, একদানা ১২০ টাকা ও চীনা রসুন ১০০-১১০ টাকা, দেশি আদা ১১০-১২০ টাকা এবং চীনা আদা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিপণ্যের মধ্যে কেজিপ্রতি দেশি মসুরডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা, নেপালিডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা, মোটা দানার মসুরডাল ১২০-১৩০ টাকা। কেজিপ্রতি মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা ও প্রতি ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৬৫-৪৮০ টাকা।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি মাঝারি রুই ২০০- ৩০০ টাকা, বড় দেশি রুই ৪০০-৫০০, আমদানি করা রুই ৩০০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৮০ টাকা, চাষের কৈ ১৮০-২৫০ টাকা, মাঝারি আকারে ইলিশের জোড়া ৮০০-১০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪২০ টাকা, খাসি ৫০০-৫৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩৫-১৪০ টাকা, লেয়ার ১৪০-১৫০ টাকা, ফার্মের মুরগির ডিম হালি ৩২ টাকা, দেশি মুরগি ডিম ৪৫ টাকা, হাঁসের ডিম ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

Related posts