শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৯ অক্টোবর ২০১৬
গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এতে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।
শনিবার বিকেলে গাজীপুর জেলা শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি। গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সেলিনা ইউনুসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসমিন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক কামরুন নেছা মান্নান, সদস্য বনশ্রী বিশ্বাস স্মৃতিকণা প্রমুখ।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আশরাফুন নেছা মোশারাফ, প্রধান বক্তা ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আসমা জেরিন ঝুমু।
বিকেল ৩টার দিকে সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষ হয়। পরে দুপুরের খাবারের বিরতি দেওয়া হয়। সম্মেলনের অতিথিরাও চলে যান। বিকেল ৪টার দিকে দ্বিতীয় পর্বে কমিটি ঘোষণা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরুর কথা ছিল। এর জন্য মঞ্চের প্রস্তুতি পর্ব চলছিল। এ সময় মঞ্চে অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মঞ্চ খালি করার কথা বলা তারা মঞ্চত্যাগ করেন। এর কিছু সময় পর একদল কর্মী সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করে চেয়ার, টেবিল, লাইট, ফ্যান, ব্যানার, ফেস্টুন ভাঙচুর ও ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় আতংকে সম্মেলনে অংশ নেওয়া মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছোটাছুটি করতে থাকেন। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ব্যাপারে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক কামরুন নেছা মান্নান সাংবাদিকদের জানান, সম্মেলনের প্রথম পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় এবং আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে নতুন কমিটি ঘোষণার কথা ছিল। দ্বিতীয় পর্ব শুরুর প্রাক্কালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মঞ্চের চেয়ার দখল বসে থাকে। চলে যেতে বলার পর তারা এ হামলা চালায়। সম্ভবত কোনো প্রার্থীর প্ররোচনায় তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
হামলার খবর পেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমতউল্লা খান ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে আসেন। ওই দুই নেতাকে হামলায় জড়িতদের শনাক্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
যেহেতু গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি প্রথম অধিবেশনে বিলুপ্ত করা হয়েছে, তাই আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে শিগগিরই নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে।
জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, সম্মেলনে হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।