শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ২০ এপ্রিল ২০১৬
ভারতের এক চতুর্থাংশ জনগণ (৩৩ কোটি) ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশটির সুপ্রিম কোর্টকে এ বিষয়ে জানানোর পর পরিস্থিতি মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় সরকারের তীব্র ভর্ৎসনাও করেছেন আদালত।
এ বিপর্যয় সম্পর্কে রাজ্যগুলোকে আগে থেকে সতর্ক করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত ওই ভর্ৎসনা করেছেন। সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছে মহারাষ্ট্র। দেশের অন্য প্রান্ত থেকে রেলওয়ে ট্যাঙ্কারে করে পানি এনে ওই অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে।
পর পর দুবছর ধরে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং তেলেঙ্গানা ও ওড়িষ্যার মতো রাজ্যে প্রবল তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সুপ্রিম কোর্টকে বলেছেন, দেশের মোট ২৫৬টি জেলা এখন খরার কবলে পড়েছে। তবে খরাকবলিত মানুষের সংখ্যা আরো বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা হরিয়ানা ও বিহারে বৃষ্টিপাত না হলেও তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে খরা পরিস্থিতি ঘোষণা করেনি।
দেশটির বেসরকারি একটি সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে বলেছিল, গ্রামীণ এলাকায় একশ দিনের কর্মসংস্থানের জন্য সরকার ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি রুপির বাজেট বরাদ্দ আছে তা এই সঙ্কট মোকাবিলায় যথেষ্ঠ নয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্বাঞ্চলের উড়িষ্যায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া দেশেজুড়ে গরমে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। গত বছর একই সময়ে খরাজনিত কারণে দেশটিতে অন্তত ২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।