শীর্ষরিপোর্ট ডটকম। ২৫ অক্টোবর ২০১৫
সদ্য জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্যানেলভুক্ত সাড়ে ২৮ হাজার জনকে নিয়োগে সরকারকে এক মাসের সময় বেঁধে দিয়েছেন নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে উত্তীর্ণদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক প্যানেল শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতারা এক সংবাদ সম্মেলনে এক তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।
এর মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ২৫ নভেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরিষদ সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৪২ হাজার ৬১১জন শিক্ষকের মেধা তালিকা প্রণয়ন করে।
“যার মধ্যে ১৪ হাজার জন শিক্ষককে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নিয়োগ প্রদান করা হয়। অবিশষ্ট প্রায় ২৮ হাজার ৬১১ জন শিক্ষক জাতীয়করণের পর হতে এখনো নিয়োগবঞ্চিত রয়েছে।”
তিনি বলেন, প্যানেলভুক্তদের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০১৪ সালের ১৮ জুন আদেশ দেয় হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আপিল করলেও গত ৭ মে প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তা খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে।
“এরপর এত সময় পার হলেও রায় বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো সু-নির্দিষ্ট পদেক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যে কারণে আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি।”
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে রবিউল বলেন, “আমরা দরিদ্র কৃষক, শ্রমিক ও অসহায় পরিবারের সন্তান। আমাদের মধ্যে রয়েছে জাতির অহংকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানও। আমরা অধিকাংশ উচ্চ ডিগ্রিধারী এবং ৭০ শতাংশ নারী শিক্ষক। নিয়োগ না পাওয়ায় অনেকে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছি।”
তারা জানান, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদ রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার। নতুন করে সৃষ্ট পদ আছে ২৬ হাজার। আর প্রায় ২০ হাজার সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে চলে যাচ্ছেন।
তাই অনেক পদ শুন্য থাকায় প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সরকারের একটুখানি স্বদিচ্ছাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেন একজন শিক্ষক।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, মহিলা সম্পাদক শিউলী বেগম, উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান ও উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।