শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১০ ডিসেম্বর ২০১৬
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে খালেদা জিয়ার দেয়া বিবৃতিকে বিএনপির চিরায়ত মিথ্যাচারের নতুন সংস্করণ হিসেবে অভিহিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশ নয়, তিনিই এখন মহাসংকটে রয়েছেন।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পেট্রল বোমা মেরে নিরীহ জনগণ হত্যা, পার্কিং করা তালাবদ্ধ গাড়ীতে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত পরিবহন শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা, পথচারী ছাত্রীকে বোমা মেরে আহত করা, কর্তব্যরত আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করা, ক্ষমতায় বসে সরকারি বাহিনীকে অপব্যবহার করে অগণিত প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কর্মী হত্যার মাস্টারমাইন্ড বেগম খালেদা জিয়া যখন মানবাধিকারের পক্ষে বিবৃতি দেন সেটি কেবল হাস্যরসের উদ্রেক করে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক উন্নত ও স্থিতিশীল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা গ্যালাপের সাম্প্রতিক জরিপে প্রকাশিত হয়েছে- ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রথম ৩০টি রাষ্ট্রের মধ্যে।
তিনি বলেন, এই জরিপে বাংলাদেশের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও উপরে এবং জাপান ও নিউজিল্যান্ডের সমপর্যায়ে। সেখানে বেগম জিয়ার মিথ্যাচার কেবল অন্তঃসারশূন্যই নয়, প্রতিহিংসার নতুন বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশ ও জাতির এই উন্নয়ন ও কল্যাণ সহ্য করতে পারছেন না। তিনি প্রতিহিংসার অন্তর্জালায় জ্বলছেন। সুতরাং দেশ নয়, স্বয়ং বেগম খালেদা জিয়াই এখন মহাসংকটে রয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ এখনো খালেদা জিয়া ও তারেকের নৃশংসতার কথা ভুলে যায়নি। যিনি ক্ষমতায় বসে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ২১ আগস্টে দেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে গ্রেনেড মেরে হত্যার মতো নৃশংসতায় উন্মত্ত হন তিনি আবার মানবাধিকারের কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পেট্রল বোমায় নিহত দেড় শতাধিক পরিবার এবং আগুনে পোড়া অসহায় মানুষের আর্তনাদে এখনো বাংলাদেশের বাতাস ভারী হয়ে আসে। ক্ষমতা এবং ক্ষমতার বাইরে থেকে যখন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন তখন মানবাধিকারের জন্য আপনার মায়াকান্না কোথায় ছিল?
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও কল্যাণের অগ্রযাত্রায় দিশেহারা, দিকভ্রান্ত হয়ে গেছেন উল্লেখ করে খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসার মানসিকতা পরিত্যাগ করে ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারা ধারণ করার আহ্বান জানান।