ডিএনসিসির দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে তথ্য চায় দুদক

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১৬ নভেম্বর ২০১৫

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নবগঠিত টাস্কফোর্স ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নানা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে তথ্য চেয়ে রেকর্ডপত্র তলব করেছে । এর মধ্যে দুই অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগের তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে।

ডিএনসিসি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে রেকর্ডপত্র তলব করেন দুদকের টাস্কফোর্স টিম ‘এ’ এর কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম ও সহকারী পরিচালক দেবব্রত মণ্ডল। রোববার দুদক সূত্র জানিয়েছে চলতি সপ্তাহের মধ্যে সব রেকর্ডপত্র সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, উল্লেখিত অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডিএনসিসিতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ আসে। অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহলের ৭ বিঘা জমি অসম চুক্তিতে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে দেয়ায় ডিএনসিসির আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৬০ কোটি টাকা। গুলশান-২ এর ২ বিঘা ৫ কাঠা জমি কম শেয়ারে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে দেয়ায় ডিএনসিসির আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩৫২ কোটি এবং রায়ের বাজারের ৪ বিঘা জমি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অসম চুক্তি করায় ডিএনসিসির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪৩০ কোটি টাকা। এছাড়া উল্লেখিত অর্থবছরে সড়ক সংস্কার, যন্ত্রাংশ ক্রয়, সামাজিক কার্যক্রমখাতে ব্যয়ের নামে আত্মসাৎসহ প্রভৃতি অনিয়মের ফলে ডিএনসিসির আরও প্রায় ৬০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

যেসব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল সংলগ্ন ডিএনসিসির সাত বিঘা জমির উপর ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত কাগজপত্র। একইভাবে টেন্ডার ছাড়াই নামমাত্র মূল্যে গুলশান-২ এলাকার ডিএনসিসির দুই বিঘা পাঁচ কাঠা জমি ও রায়ের বাজারের কাঁচাবাজারে ডিএনসিসির ৮০ কাঠা জমির উপর ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত কাগজপত্র। এসব ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মানা হয়েছে কি-না, এবং বিল-ভাউচার, ভবন নির্মাণের বিধিবিধান চুক্তি বাস্তবায়ন কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছে।

এসব ছাড়াও ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ডিএনসিসির গাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত কাগজপত্র। এ দুই অর্থবছরে বিভ্ন্নি উন্নয়নমূলক কাজের তালিকা ও বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কাজের তালিকা দেখাতে বলা হয়েছে।

অভিযোগটি আমলে নিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে টাস্কফোর্সকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয় কমিশন। তারা এসব দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিও ক্ষতিয়ে দেখছেন। এজন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই কর্মকর্তা অক্টোবর মাসের শেষের দুইবার ও গত ৪ নভেম্বর মোট তিনবার ডিএনসিসির কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো পরিদর্শন ও অনুসন্ধান করেন।

 

Related posts