জয়ললিতার ২১ কেজি সোনা, ১০ হাজার শাড়ি, ৭৫০ জুতা, ৫০০ ওয়াইন গ্লাস কোর্টে!

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ৯   ডিসেম্বর  ২০১৬

 

 জয়ললিতার ২১ কেজি সোনা, ১০ হাজার শাড়ি, ৭৫০ জুতা, ৫০০ ওয়াইন গ্লাস কোর্টে!

জয়ললিতার ২১ কেজি সোনা, ১০ হাজার শাড়ি, ৭৫০ জুতা, ৫০০ ওয়াইন গ্লাস কোর্টে!

ভারতের কর্ণাটকের নগর দায়রা আদালতের একতলার একটি ঘর। সামনে কড়া পাহারায় চার পুলিশ কর্মী। দিন রাত পাহারা দিয়ে যাচ্ছে ওই ঘরটিকে। সতর্ক এই পাহারার কারণ কী জানেন? না, কোনো দাগী আসামী নয়, বরং ওই ঘরে নজরবন্দি পরলোকগত এক মন্ত্রীর জামা, জুতা, গ্লাস! এই ঘরে বাজেয়াপ্ত করে রাখা রয়েছে সম্প্রতি প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ১০ হাজার ৫০০টি শাড়ি, ৭৫০ জোড়া জুতা এবং ৫০০ ওয়াইন গ্লাস!

১৯৯৬ সালে আয়কর দফতর যেগুলো বাজেয়াপ্ত করে। সুব্রহ্মণ্যন স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে জয়ললিতার সম্পত্তি যাচাইয়ে মাঠে নামে আয়কর দফতর। তার ঘর থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ১০ হাজারের বেশি শাড়ি, সাতশোর বেশি জুতা এবং‌ ৫০০ ওয়াইন গ্লাস। সঙ্গে রয়েছে ৩ কোটি ৫০ লাখ রুপি মূল্যের ২১.২৮ কেজি সোনার গয়না, ৩ কোটি ১২ লাখ রুপি মূল্যের রুপোর গয়না, ২ কোটি রুপির হিরের গয়না। যে সম্পত্তির কোনো হিসাব জয়ললিতা দিতে না পারায় তা বাজেয়াপ্ত করে আয়কর দফতর। ২০০২ সালে জয়ললিতার সম্পত্তি-সংক্রান্ত মামলাটি কর্ণাটকে স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকেই এগুলো সবই কর্ণাটক নগর দায়রা আদালতের ওই ঘরে রাখা হয়েছে।

জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকেই যেগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। এআইএডিএমকের সিনিয়র নেতারা যেগুলো মিউজিয়ামে রাখতে চান। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এখনো এই মামলার নিষ্পত্তি করেনি। ২০১৭ সালে মামলার রায় বেরনোর কথা রয়েছে। যদি জয়ললিতার দোষ প্রমাণিত হয়, তা হলে বাজেয়াপ্ত সমস্ত সম্পত্তিই তামিলনাড়ু সরকারের হাতে তুলে দেয়া হবে। আর তা যদি না হয়, তা হলে উপযুক্ত দাবিদারকে তা দেয়া হবে বলে জানান কর্ণাটকের নগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল এ এস পোনাম্মা।

 

Related posts