গরুর গোস্ত খেয়েও সুস্থ থাকার ৫ কৌশল

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ৫  নভেম্বর  ২০১৬

গরুর গোস্ত খেয়েও সুস্থ থাকার ৫ কৌশল

গরুর গোস্ত খেয়েও সুস্থ থাকার ৫ কৌশল

গরু-খাসির গোস্তের ভুড়ি ভোজ। আর এ ভোজে একদিকে শরীরের ওজন বেড়ে যায়, অন্যদিকে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে আপনি কি জানেন, গরুর গোস্ত খেয়েও দিব্যি সুস্থ থাকা যায়? সুস্থ থাকার জন্য ছোট্ট কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে।

১) চর্বি ফেলে দিয়ে মাংস খান

কসাইয়ের কাছ থেকে গোস্ত আসার পর দেখা যায় গোস্তে প্রচুর চর্বি থাকে। ওজন বাড়া এবং বিভিন্ন রোগ বেড়ে যাবার জন্য কিন্তু এ চর্বিই দায়ী। এসব কারণে গোস্ত থেকে চর্বি কেটে ফেলে দিন যতটা সম্ভব। অনেকেই চর্বিযুক্ত গোস্ত পছন্দ করেন কিন্তু স্বাস্থ্যের প্রতি মায়া থাকলে এই চর্বিটুকু বাদ দেওয়াই আপনার জন্য ভালো।

২) অতিরিক্ত তেল দিয়ে রান্না করবেন না

গোস্ত রান্নার সময়ে অতিরিক্ত চর্বি তো বাদ দেবেনই, সাথে অতিরিক্ত তেল না দিয়েই রান্না করার চেষ্টা করুন। চর্বি ফেলে দেবার পরেও গোস্তের ভেতরে যতটা চর্বি থাকে তা রান্নার জন্য যথেষ্ট। এতে আরও তেল যোগ করলে রান্না হয়তো মজা হবে কিন্তু স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে।

৩) গোস্তের সাথে বেশি করে সবজি খান

কোরবানির গোস্ত এলেই যে সবজি খাওয়া বাদ দিতে হবে তা কিন্তু নয়। বরং সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার জন্য অনেকটা করে সবজি খাবেন প্রতি বার গোস্ত খাওয়ার সময়ে। খেতে পারেন সালাদ অথবা সবজির তরকারি। গোস্তও সবজি দিয়েই রান্না করতে পারেন।

৪) কিমা থেকে ঝরিয়ে ফেলুন চর্বি

গোস্তর টুকরো থেকে চর্বি কেটে সরিয়ে ফেলা যতো সহজ, কিমা থেকে চর্বি কমানো তত সহজ না বলে মনে করেন অনেকে। আসলে কিন্তু তা নয়। বেশ কয়েকটি উপায়ে কিমা থেকে চর্বি সরিয়ে ফেলতে পারেন। কড়াইতে কিমা একটু ভেজে নিন, এতে চর্বিটা গলে বের হয়ে আসবে। এই চর্বিটুকু কড়াই কাত করে ফেলে দিন। এছাড়াও ঝাঁঝরি চামচে করে গোস্ত তুলে নিতে পারেন এতে চর্বিটা আলাদা হয়ে যাবে। গোস্তটুকু তুলে পেপার টাওয়েল দিয়ে শুষে নিতে পারেন চর্বিটুকু। এছাড়াও গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। একটি ঝাঁঝরি বোলে নিন গোস্তের কিমাটুকু। এরপর প্রায় ফুটন্ত গরম পানি ঢালতে থাকুন এর ওপরে। পানির সাথে চর্বিটুকু গলে চলে যাবে। পানি ঢেলে দেবার পর পাঁচ মিনিট ধরে পানিটা ঝরিয়ে নিন।

৫) অতিরিক্ত খাবেন না

দৈনিক কিছু পরিমাণ প্রোটিন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যই জরুরী। কিন্তু অতিরিক্তও খাওয়া যাবে না। অনেকে মনে করেন কোরবানির সময়টাতেই বেশি করে খেয়ে নেবেন। কিন্তু তা না করাই ভালো। দৈনিক ৯০ গ্রামের বেশি গোস্ত না খাওয়ার চেষ্টা করুন।

 

 

 

Related posts