ভিডিওতে দেখুন কল্যানপুরের ছাদ
শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৭ অক্টোবর ২০১৬
ছাদের বাসভবনকে গাছপালার শৈল্পিক সৌন্দর্যে সাজিয়েছেন ঢাকার কল্যানপুরের এক তরুণ দম্পতি। ছাদ থেকেই মিটছে পরিবারের সবজি ও ফলের চাহিদার অনেকটা। মিটছে মনের খোরাকও।
আট বছরের প্রচেষ্টা পৌঁছেছে এখানে। পরিকল্পিত সবুজে ছেঁয়ে গেছে ছাদ। এখান থেকেই পুরণ হচ্ছে মিটুল আর বিন্তি দম্পতির কৃষিকাজের শখ। পুরণ হচ্ছে মাটি আর ফসলের কাছাকাছি থাকার স্বপ্ন।
কল্যানপুরের কৃষ্ণচূড়া এপার্টমেন্টের ছাদ কৃষি উদ্যোক্তা তৌহিদ মিতুল বলেন, আমরা সব সময় প্রশান্তির জায়গাটা চিন্তা করেছি, সবুজে থাকতে চেয়েছি, একটা জঙ্গল টাইপের করে এটা আমাদের দুইজনেরই পছন্দ।
কর্মব্যস্ত জীবনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায় এই সবুজ নীড়ে ঢাকা ছাদে এসে, ফিরে পান ছোটবেলায় মনে গাঁথা ভিটেমাটির গন্ধও
দেশী বিদেশী ফুল ফল, যা কিছু সৌন্দর্যের তার সবকিছুর সমাহার ঘটেছে এখানে। এমনকি রয়েছে পদ্ম ফুল আর কচুরিপানা। রয়েছে নানা রকমের ঔষধি গাছও।
কল্যানপুরের কৃষ্ণচূড়া এপার্টমেন্টের ছাদ কৃষি উদ্যোক্তা রেবেকা সুলতানা বিন্তি বলেন, আমি নিজেকে নগর কৃষক বলি।আমার এক খন্ড জমি থাকলে কি কি চাষ করতাম সেটাও চিন্তা করি।আমি প্রতিদিন সকালে ঝুড়ি নিয়ে এসে শাক তুলি, করল্লা তুলি, ঝিঙা তুলি। আসলে আমার সকালটা অনেক সুন্দর করে শুরু হয়।
ছাদের ওপর সবুজ নিসর্গ এই ছোট্ট পরিবারটিকে করে তুলেছে প্রাণবন্ত
দিনে দিনে সেজে উঠেছে চিলেকোঠার এক টুকরো ছাদও। সেখানে সাজিয়েছেন শাক-সবজির পসরা।
সবুজ এই আবাসে বসে এই তরুণ দম্পতি স্বপ্ন দেখেন এই নগরের সবুজ সৌন্দর্যের।
তরুণ দম্পতি জানায়, আশে পাশে এখনো অনেক প্রচুর খোলা ছাদ পড়ে আসে। ছাদকৃষি নিয়ে যদি রাষ্ট্র যদি একটা বাধ্যবাধকতা করে দেয় তবে সবাই সবুজে থাকতে পারবে।
এ দম্পত্তির বসবার আর শোবার ঘরের মতোই এক টুকরো এই ছাদ কৃষি বা ছাদ বাগান তাদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ।যা তারা নির্মাণ করছে নিষ্ঠা ভালবাসা ও একাগ্রতা দিয়ে আগামী প্রজন্মের জন্যে।এ থেকে তারা যেমন পাচ্ছে উপকার একই সাথে এ সুশীতল ছায়ানীড় নগরবাসীকে দিচ্ছে বিশুদ্ধ নিঃশ্বাসের নিশ্চিয়তা।