শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৬ নভেম্বর ২০১৬
শীতকালীন সবজি ফুলকপি কম-বেশী সবাই পছন্দ করে। কাঁচা, সিদ্ধ ও ভাজা অথবা পাকোড়া তৈরি করেও খাওয়া যায় এ সবজি।
আগে এ কপির পাতা ও ডাঁটা ফেলে দেয়া হতো। বর্তমানে তা দিয়ে স্যুপ রান্না করে খাওয়া হয়। ফুলকপির পাতা ও ডাঁটায় ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। ফুলকপি দিয়ে এখন আচারও তৈরি করা হচ্ছে।
গবেষকদের মতে, ফুলকপিতে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে, যা শিশুর দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় সাহায্য করে। ফুলকপির ফুল, পাতা ও ডাঁটায় প্রচুর খনিজ পদার্থ, খাদ্যশক্তি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি রয়েছে। জলীয় অংশও আছে। মজার বিষয় হল, ফুলকপিতে গরুর দুধের চেয়ে ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণ যথাক্রমে ৫ এবং ২০০ গুণ বেশি।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আরও আছে অ্যান্টি-ক্যান্সার বা ক্যান্সার নিরোধক উপাদান। কোলন, রেকটাম ও পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং মলাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ফুলকপি।
এছাড়া ফুলকপির জাদুতে আর কী কী রোগ সেরে যায় তা নিম্নে আলোচনা করা হল :
* ফুলকপি কোলন, রেকটাম ও পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কলেস্টরল কমাতেও ফুলকপির ভূমিকা আছে।
* ক্যান্সার নিরোধক উপাদান বেশি থাকে ফুলকপির পাতার উপরিভাগে।
* সপ্তাহে দুই পাউন্ড এ জাতীয় শাকসবজি খেলে মলাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমতে পারে।
* ডায়াবেটিসের কারণে রক্তনালির ক্ষতি হয়। ফুলকপি তা পূরণ করে।
* ফুলকপির মতো সবজি হার্টঅ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও হ্রাস করে।
* এ সবজি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে।
* ফুলকপিতে বিদ্যমান ফলেট গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী। রক্তের শ্বেতকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে ফলেট।
সাবধানতা : যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের ফুলকপি বেশি না খাওয়াই ভালো । আবার যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তাদেরও ফুলকপি খেতে একটু সাবধান হতে হবে। কারণ ফুলকপি খেলে অনেকের গ্যাসের সমস্যা হয়। এ ছাড়া থাইরয়েড গ্ল্যান্ডসংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্তদের ফুলকপি এড়িয়ে চলাই ভালো।