শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১৮ মার্চ ২০১৬
গরুর মাংস আর মুসলিম বিদ্বেষ নিয়ে সম্প্রতিক সময়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার।
ভারতের ভেতর থেকেও এর প্রতিবাদ এসেছে। দেশের প্রথম সারির লেখক-লেখিকা থেকে শুরু করে বলিউডের অভিনেতা। কেউ পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। কেউ আবার সরাসরি দাবি করেছেন, এ দেশে মুসলিমদের থাকার মতো পরিস্থিতিই নেই।
মুসলিম-বিরোধী মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। মোদি নীরব থেকে কার্যত তাতে সমর্থন জুগিয়েছেন।
অথচ এবার মোদি বললেন, ইসলামের আসল অর্থ হলো শান্তি।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে বিশ্ব সুফি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদি বললেন, ‘আল্লাহর ৯৯টি নামের মধ্যে একটারও অর্থ হিংসা নয়।’
সেই সঙ্গেই মোদি বলেন, ইসলামের বৈচিত্র হলো ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
বিজেপির একাধিক মন্ত্রী বহু বার বলেছেন, ইসলাম মানেই সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর। কেউ গরুর মাংস খেলে তিনি যেন পাকিস্তানে চলে যান, এমন হুমকিও এসেছে কারও কারও থেকে।
তবে মোদি বললেন , ‘সন্ত্রাসের নানা উদ্দেশ্য থাকে। যার পিছনে কোনো যুক্তিই খাটে না। আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কোনো বিশেষ ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয় কিন্তু। তা কখনওই হতেই পারে না।’
শুধু ইসলামই নয়, সুফি সম্মেলনে এসে সর্বধর্ম সমন্বয় নিয়ে কথা বলেছেন মোদি।
বলেছেন, ‘হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি, আস্তিক, নাস্তিক—সকলেই ভারতের অংশ।’
এর পরেই পবিত্র কোরআনের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ‘কোরআনেই বলা আছে কেই যদি এক জন মানুষকে হত্যা করে, তা হলে তা গোটা মানবতাকে হত্যা করার সামিল।’
মোদির মতে, বর্তমান বিশ্বে মানবতাই সঙ্কটের মুখে।
সুফি সম্মেলনের প্রশংসা করে মোদি বলেছেন, ‘বিশ্বে যে দর্শনের অবদান সবচেয়ে মহান তা হলো সুফিবাদ।’
সুত্র: হিন্দুস্তান টাইমস