শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১২ ডিসেম্বর ২০১৬
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন সোসাইটির সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ ডিএনসিসি এলাকায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রায় ৬০০ ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ২০১৭ সালের মধ্যে পুরো ডিএনসিসি এলাকায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
সোমবার ডিএনসিসি এলাকায় আরো পাঁচশ সিসি ক্যামেরা স্থাপন সংক্রান্ত নগর ভবনে অনুষ্ঠিত এক সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন সোসাইটির সমন্বিত সংগঠন ‘ল অ্যান্ড অর্ডার কো-অর্ডিনেশন কমিটি (এলওসিসি)’ এবং ক্যামেরা সরবরাহ, স্থাপনকারী তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। এতে এলওসিসি’র পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের উপদেষ্টা সংসদ সদস্য রহমত উল্লাহ ও তাইওয়ানিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মেরিট লিলিন ইএনটি. কোম্পানি লিমিটেডের বিজনেস ডেভালপমেন্ট ম্যানেজার (সার্ক) মি. পেমা লিন এবং এএ টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি. এম রাজিব।
আনিসুল হক জানান, তাইওয়ানিজ এ প্রতিষ্ঠান সিসি ক্যামেরা স্থাপন থেকে শুরু করে পরবর্তী পাঁচ বছর এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে। চুক্তি অনুযায়ী তারা পাঁচ বছর ক্যামেরা পরিচালনে সফটওয়্যার এবং দুই বছর ক্যামেরাগুলোর রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারিয়েন্টি দিচ্ছে। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এলওসিসি কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১৪ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছেন।
সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পর গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় গত তিন মাসে কোন চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। এ ক্যামেরাগুলো মনিটরিং পুলিশের কন্ট্রোল রুম সেল সার্বক্ষণিক কাজ করছে। কিন্তু উচ্চ গতিতে গাড়ি চালানো এখনো বন্ধ হয়নি। এ কাজের সঙ্গে কিছু বড় লোকের ছেলেরা জড়িত রয়েছে। তবে তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মেয়র বলেন, ‘উচ্চ গতিতে গাড়ি চালালে সে যত বড় লোকের সন্তানই হোক না কেন, পুলিশ তাদের ধরে আইনি ব্যবস্থা নেবে।’