আমিও সাংবাদিক পরিবারেরই একজন : প্রধানমন্ত্রী

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২০  অক্টোবর  ২০১৬

আমিও সাংবাদিক পরিবারেরই একজন : প্রধানমন্ত্রী

আমিও সাংবাদিক পরিবারেরই একজন : প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্সের ৩১তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছেলে জয়, মেয়ে পুতুল ও নাতি-নাতনিরা ল্যাপটপের কি বোর্ড চেপে অনলাইনে বিশ্বের সব খবর দেখে। তবে এ কথাও সত্যি যে, সংবাদপত্রের গুরুত্বও আগের তুলনায় কমছে। কিন্তু আমার মতো বয়স্ক মানুষের কাছে এখনও রোজ ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা আর জাতীয় দৈনিকে চোখ বুলানোর অনুভূতিটা অন্যরকম।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে বক্তৃতা শুরু করেন। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ১৯৫৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক ইতিহাস, গণতন্ত্রকে কলুষিত করে সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতাদের আবির্ভাব, জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন না করে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুটপাট, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরামহীন প্রচেষ্টাসহ সকল বিষয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি।

কখনও স্মিত হেসে, কখনও ঠাট্টাচ্ছলে আবার কখনও কঠোর ইস্পাত মনোভাব নিয়ে বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তার বক্তব্য শোনেন উপস্থিত মন্ত্রী, সচিব, বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদকসহ সিনিয়র-জুনিয়র গণমাধ্যম কর্মীরা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সালে দৈনিক ইত্তেহাদেও পূর্ববঙ্গের প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা করেন। পরবর্তীতে ইত্তেফাকে লেখালেখি করেও উপার্জন করেন। সে হিসেবে তিনি নিজেও সাংবাদিক পরিবারের সন্তান বলে দাবি করলে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মী ও প্রেসক্লাবের সদস্যরা মুহুর্মুহু করতালির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেবেলায় কচিকাঁচার আসরে যোগ দিতে তিনি প্রেসক্লাবে এসেছেন। ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু যখন যুক্তফ্রন্ট সরকারের তরুণ শিল্পমন্ত্রী ছিলেন, তখন তার উপস্থিতিতেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ১৮, তোপখানা রোডের লাল ভবনটি ‘পূর্ব পাকিস্তান প্রেসক্লাবের নামে’ বরাদ্দ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলগুলোর সঙ্গে মাটি ও মানুষের সম্পর্ক নেই। তাই আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে শুধু তখনই দেশের উন্নয়ন হয়।

তিনি বলেন, দেশের সংবাদপত্র সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। দেশে সাড়ে ৭শ’র বেশি দৈনিক প্রকাশিত হচ্ছে। ২৩/২৪টা টিভি চ্যানেল চলছে। সাংবাদিকদের জন্য তথ্য অধিকার আইন, তথ্য কমিশন গঠনসহ ১৮টি আইন ও বিধিমালা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বপ্ন দেখতে হলে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। উচ্চাভিলাষী নয়, স্বপ্নকে ছোঁয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকলেও স্বপ্ন পূরণ হবেই হবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩১তলা ভবনের কাজও দ্রুত বাস্তবায়ন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, মঞ্চের সামনে অনেক রথি মহারথি বসে আছেন। তারাও চাইলে ভবন নির্মাণে এগিয়ে আসতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

 

 

Related posts