|
সিরিয়া থেকে কেনো সৈন্য প্রত্যাহার করলো রাশিয়াশীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১৫ মার্চ ২০১৬ ফেরত যাচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানফেরত যাচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান সিরিয়া থেকে রাশিয়া তাদের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর সেখান থেকে প্রথম রুশ সামরিক বিমান মস্কোতে ফিরে এসেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন গতকালই ঘোষণা করেন যে সিরিয়ায় তাদের সামরিক অভিযানের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে এবং সে কারণে তারা সেখান থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের পরও রাশিয়া সিরিয়ায় কিছু বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন রাখবে যা মস্কো তাদের ভাষায় সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলার কাজে ব্যবহার করবে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। একবারে হঠাৎ করেই সোমবার সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণার পরদিনই তা কার্যকর করতে শুরু করেছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া ভিডিওতে দেখা গেছে সিরিয়ার হিমেইমিম বিমান ঘাঁটি থেকে বেশ কয়েকটি রুশ যুদ্ধ বিমান দেশের উদ্দেশ্যে উড়ে যাচ্ছে। সৈন্য প্রত্যাহারে রাশিয়ার এই ঘোষণা এমন সময় এলো যখন জেনেভাতে সিরিয়া বিষয়ে নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে গতকাল। জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্তাফান দ্য মিস্তুরা রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই ঘোষণা মীমাংসা আলোচনায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। প্রেসিডেন্ট আসাদের অন্য যে প্রধান মিত্র ইরান তারাও রুশ সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এখন অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন রুশ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সিরিয়ায় একটি যুদ্ধবিরতি আংশিক হলেও কাজ করছে। এটাই ইরান গত তিন বছর ধরে চাইছে। তিনি মন্তব্য করেন, রাশিয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক কারণ তারা হয়তো মনে করছে নতুন করে শক্তি প্রয়োগের আর দরকার হবে না। প্রেসিডেন্ট আসাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া শোনা যায়নি। সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক ভারসাম্য একেবারে বদলে যায়। বিদ্রোহীদের পিঠ অনেকটাই দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাদের হাত থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে সরকারি বাহিনী। কিন্তু এ সময় হঠাৎ করেই মি. পুতিন কেনো সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন - তা নিয়ে অনেকেই মাথা চুলকাচ্ছেন। দামেস্ক থেকে বিবিসির লিস ডুসেট বলছেন, রাশিয়া এখন বিশেষভাবে চাইছে সিরিয়ার যুদ্ধ শেষ হোক। সামরিক সাফল্যের সুযোগে সিরিয়ার সরকার যাতে শান্তি মীমাংসায় কট্টর অবস্থান না নিতে পারে -- সেটাই হয়তো রাশিয়া নিশ্চিত করতে চাইছে। তবে সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছেনা। বিমান হামলা চলবে। রুশ বিমান ও নৌ ঘাটিও থেকে যাচ্ছে। - বিবিসি |
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft |