সিগন্যাল মানেনি বাবা, পুলিশকে ফোনে জানিয়ে দিল একরত্তি ছেলে!


শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৪  জুন  ২০১৬

সিগন্যাল মানেনি বাবা, পুলিশকে ফোনে জানিয়ে দিল একরত্তি ছেলে!

সিগন্যাল মানেনি বাবা, পুলিশকে ফোনে জানিয়ে দিল একরত্তি ছেলে!



গ্রিন মানে গো। ইয়ালো মানে স্লো, আর রেড মানে তো স্টপ! তাহলে বাবা গাড়ি দাঁড় করালো না কেন? সারা রাস্তা এই কথাগুলোই তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। বাড়িতে ফিরে খেলার সময় হঠাৎই চোখে পড়ে খেলনা গাড়ির পাশে লেখা একটি নম্বর। ৯১১... ওয়াশিংটন পুলিশের আপতকালীন নম্বর। এর পরেই মাথায় খেলে যায় ‘দুষ্টুমি'টা। ল্যান্ড ফোন থেকে নম্বর ঘুরিয়ে সোজা ফোন ওয়াশিংটন পুলিশের কন্ট্রোল রুমে। ফোনের ওপাশে আধোআধো কন্ঠে তখন নিজের বাবার নামেই অভিযোগ করছেন ৬ বছরের এক খুদে! অভিযোগ ট্রাফিক সিগন্যাল না মানার। প্রথমে নেহাতই ছেলেমানুষি মনে করে খুব একটা আমল দিচ্ছিল না পুলিশ। কিন্তু খুদেও যে দমবার নয়। শেষমেশ তার বাবা নিজের ভুলের কথা মেনে নিতে বাধ্য হলেন পুলিশের কাছে। কয়েক দিন আগে পরিবারের সঙ্গে ছ'বছরের ছোট্ট রবি গাড়িতে বাড়ি ফিরছিল। চালকের আসনে ছিলেন বাবা রিচার্ডসন। পিছনের সিটে বসে খেলা করছিল রবি। বাবা বোধহয় আগে বুঝতে পারেননি পুলিশ হওয়ায় ইচ্ছেটা নেহাতই রবির ছেলেমানুষি নয়। পুলিশের মতোই আইন-কানুন রক্ষার্থে সে-ও ভীষণই ‘স্ট্রিক্ট'। রিচার্ডসন রাস্তা ফাঁকা দেখে রেড লাইট-এ গাড়ি চালিয়ে সটান চলে আসেন বাড়িতে। কিন্তু পুলিশকে ফাঁকি দিলেও, ফাঁকি দিতে পারেননি ছেলের চোখকে। ছেলেই পুলিশকে ফোনে জানিয়ে দেয় বাবার কাণ্ড। ট্রাফিক সিগন্যাল না মানার জন্য পুলিশের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন রিচার্ডসন। ছেলেকেও কথা দিয়েছেন, ‘‘আর কখনও এরকম হবে না।''
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft