|
রামপালে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না : প্রধানমন্ত্রীশীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৭ আগস্ট ২০১৬ রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না, তার ‘প্রমাণ' দিয়ে এই প্রকল্প সরানোর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের প্রান্ত সীমানা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে এবং বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হতে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সামান্য পরিমাণ ক্ষতিকারক বায়বীয় পদার্থও যদি নিঃসরণ হয়, তবে তা সুন্দরবনের দিকে নয়, উল্টোদিকে প্রবাহিত হবে।' তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল মানুষের চুরি করে গাছ কাটার প্রয়োজন আর হবে না। কোম্পানি থেকে বছরে ৩০ কোটি টাকা সিএসআর ফান্ডে জমা হবে। তা দিয়ে এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কাজ করা হবে। লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। এ সময় ফুলবাড়িয়া কয়লা খনির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উপর বিএনপি সরকার গুলি চালিয়েছিলো বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি সরকারের সমালোচনা করেন তিনি বলেন, আমাদের প্রাক্তন বিরোধী দল বিএনপি বিদ্যুৎ খাতে কোনো উন্নয়ন করেনি। খাম্বা বানানোর কোম্পানি খুলেছিলো এবং খাম্বা বিক্রি করেছিলো হাজার হাজার কোটি টাকার। তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে দেশের উন্নয়নবিরোধী একটি মহল বেশ কিছু দিন যাবৎ ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও মনগড়া বক্তব্য এবং তথ্য দিয়ে প্রকল্প সম্পর্কে মানুষের মাঝে এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব ও ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ২৪ আগস্ট থলের বিড়ালটা বেরিয়ে পড়লো। আমি চিন্তা করছিলাম, এরা যে আন্দোলনটা করছে, আন্দোলনের মূল শক্তিটা কোথায়? অথবা খুঁটির জোর কোথায়? খুঁটির জোরটা এখন পাওয়া গেছে। আপনারা দেখেছেন যে, এতদিন অন্তরালে থেকে ইন্ধন যোগালেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রেস কনফারেন্স করে এই অপপ্রচারে প্রকাশ্যে সামিল হয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে হঠাৎ করে বিএনপির অপপ্রচারে প্রকাশ্যে যোগ দেয়ার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে। না হলে এই কেন্দ্রটি শুরু হওয়ার এত দিন পর কেন এই ধরনের প্রতিক্রিয়া আসলো। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে যদি কোনো নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই থাকতো তাহলে তারা অনেক আগেই জনসম্মুখে প্রকাশ করতো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বিরোধিতাকারীরা বলতে চাচ্ছে, সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। আজকে আমি আপনাদের সামনে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে প্রমাণ করে দেবো রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না। প্রথমেই আমাদের ঐকমত্যে আসতে হবে বিদ্যুৎ প্রয়োজন কী না। শেখ হাসিনা বলেন, রামপাল নিয়ে যারা সমালোচনা করেছেন নানা কথা বলছেন। বিশেষ করে বিএনপি নেত্রী যখন কথা বলেন তখন আমার মনে হয় মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী তার পুরো বক্তব্যে উদ্ভট বানোয়াট, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন। ঊনি কি কখনো ঐ এলাকায় গেছেন দেখতে, আমি গিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত একটা বিশাল দেশ। আর আমরা ম্যাপ দেখলেই বুঝবো আমাদের কতটুকু দেশ, ষোল কোটি মানুষের বসবাস। ষোল কোটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হলে এ ধরনের বিশাল দেশের সঙ্গে আমাদের তুলনা খাটে না। তিনি জানান, সাড়ে ৭ বছরের ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষমতা অর্জন করেছি। ১০৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে, ৭৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। ১ কোটি ১২ লাখ নতুন গ্রাহককে নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা জানি কুইক রেন্টাল স্থায়ী সমাধান ছিলো না। আমাদের দীর্ঘস্থায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। সেখানে আমরা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা প্রয়োজনীয়। এটা একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রয়োজন স্বল্প খরচের পরিবহন ব্যবস্থা। কয়লা খনির কাছাকাছি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়ে থাকে। |
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft |