মাধবদীর পোষাক মার্কেটে বাড়ছে ঈদের ভীড় বাড়ছে জাল টাকার ছড়াছড়ি


শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১৮  জুন ২০১৬

মাধবদীর পোষাক মার্কেটে বাড়ছে ঈদের ভীড় বাড়ছে জাল টাকার ছড়াছড়ি

মাধবদীর পোষাক মার্কেটে বাড়ছে ঈদের ভীড় বাড়ছে জাল টাকার ছড়াছড়ি



মোঃ আল আমিন, মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা : মাধবদী থানা এলাকার সবগুলো আভিজাত পোষাক মার্কেট সহ বিশেষ করে তৈরি পোষাক, শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, থ্রীপিছ, বিক্রয়ের মার্কেটের দোকান গুলোর সামনে তোরণ নির্মাণ করে সুন্দর সাজে সাজানো হয়েছে প্রতিটি মার্কেট। ক্রেতা আকর্ষণে ৫শ'টাকার পণ্য ক্রয় করলে দেয়া হচ্ছে লটারি কুপন/প্রথম পুরস্কার ফ্রীজ সহ নানা ধরনের দামী দামী উপহার। ক্রেতা সাধারণও পবিত্র রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভীড় এড়াতে ঈদের কেনাকাটা করতে শুরু করেছেন। শিশু/কিশোর সহ সব বয়সের পোষাক এখনই ভাল বিক্রি হচ্ছে বলে কয়েকজন দোকানি জানিছেন। ঈদের পোষাক বিক্রি শুরুর সাথে সাথে মাধবদীর বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল টাকা ছড়ানোর প্রতারক চক্র। ইতিমধ্যেই কাপড় ও তৈরি পোষাকের বৃহৎ মার্কেট শেখেরচর (বাবুরহাট) মাধবদীর স্কুল সুপার মার্কেট, সোনার বাংলা সমবায় মার্কেট, মোল্লা মার্কেট ও হাজী এলাহী বক্স সুপার মার্কেটে পোষাক বিক্রির দোকান গুলোতে প্রচুর নারী-পুরুষ, কিশোর/কিশোরী ক্রেতা দর্শনার্থীর প্রচুর আগমন ঘটছে এবং পছন্দের পোষাক ক্রয় করতে দেখা যাচ্ছে। শেখেরচর ও মাধবদীর উভয় মার্কেটে পাইকারী/খুচরা শাড়ী ও লুঙ্গি বিক্রেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারন এখনও পুরোপুরি ঈদের কেনাকাটার ভীড় জমেনি তথাপি কয়েকটি দোকানে জাল টাকা দিয়ে কাপড় নিয়ে গেছে বলে জানাগেছে। দোকানীরা জানান ব্যংকের সিল মারা বান্ডেল দেখে শুধু নোট গুণে নিয়েছেন। পরে টাকার বান্ডেল খুলে অন্য জনকে দেয়ার সময় ধরা পড়ে ভেতরে ১০/১৫টা করে জালনোট রয়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে শাড়ি, থ্রীপিছের পাশাপাশি যাকাতের কাপড়ও তাই এক একজনে ৫-১০ লাখ টাকার কাপড় ক্রয় করে টাকা দেয়ার পর তা গুণে জাল টাকা আছে কিনা যাচাই করা খুবই কঠিন হয়ে যায় কেননা একজন পার্টির টাকায় জাল টাকা আছে কিনা তা যাচাই করে মাল সরবরাহ করতে সময় লাগবে কম করে ১ ঘন্টা তখন দোকানে আসা অন্য ক্রেতার সাথে কথা বলারও সুযোগ ও সময় পাবেনা দোকানিরা। তারা জানান ক্রেতারা মাল ক্রয় করে টাকা দিয়ে যাওয়ার পর বান্ডেলের ভেতরে জাল নোটের কথা ক্রেতাকে জানালে ক্রেতা সরাসরি অস্বীকার করে আবার কেউ কেউ বলেন ব্যংক থেকে উঠিয়ে এনেছি। এতে জাল টাকা পড়তে পারেনা। অপরদিকে খুচরা দোকানে শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জবী, থ্রীপিছ ক্রয়/বিক্রয়ের সময়ও জাল নোট পাওয়া যাচ্ছে বলে স্কুল সুপার মার্কেট ও সোনার বাংলা মার্কেটের বেশ ক'জন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। তারা বলেন এখনও ঈদের কেনাকাটার তেমন ভীড় হয়নি কিছুটা সময় এখনো পাওয়া যায় জাল টাকা স্বনাক্ত করার। ঈদের কেনাকাটা পুরোপুরি শুরু হলে একজনের জাল টাকা যাচাই করতে অন্য ক্রেতা/গ্রাহকরা বিরক্ত হয়ে অন্য দোকানে চলে যাবেন। সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনী জাল টাকা ছড়ানো চক্রটির ব্যাপারে ত্বরিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল। অন্যথায় এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে পোষাক বিক্রেতাগণ লাভের চেয়ে লোকসান গুণতে হবে বেশী। এমন আশঙ্কা করছেন পাইকারী ও খুচরা তৈরি পোষাক সহ প্রায় সব ধরনের ব্যবসায়ী মহল।
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft