ভাইরাস জ্বর বা গরমে জ্বর হলে যা করণীয়


শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৪  আগস্ট ২০১৬

 

ভাইরাস জ্বর বা গরমে জ্বর হলে যা করণীয়

ভাইরাস জ্বর বা গরমে জ্বর হলে যা করণীয়



এখন যাদের জ্বর হচ্ছে তাদের মূলত আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জ্বর হচ্ছে। একটানা বৃষ্টি বা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা এবং এক ঘরে অনেক লোক গাদাগাদি করে বসবাস করলেও জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কম রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন লোকদের হঠাৎ জ্বরের ঝুঁকি বেশি। এছাড়া এসময় ডেঙ্গুর প্রকোপও দেখা যাচ্ছে চারপাশে। তাই এ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন সবাই। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানতা মেনে চললে জ্বর থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা যায়।

আপনার জ্বর হয়েছে কিনা তা সহজেই আপনি অনুভব করতে পারবেন জ্বরের কিছু স্বাভাবিক লক্ষণ দেখেই। এসময় প্রচণ্ড মাথাব্যথা বা মাথা ভারী বোধ হয়, শরীরে ব্যথা করে, হালকা জ্বর (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি নয়) অনুভূত হয়, গলা ব্যথা করে। এছাড়াও অনেকের নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়তে থাকে, চোখ লাল হয়ে যায়, এসব উপসর্গ পরিলক্ষিত হলে বুঝতে হবে জ্বর হয়েছে আপনার।

অধিকাংশ সময়েই এ ধরনের ভাইরাস জ্বর বা গরমে জ্বর আপনা আপনি কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তাই এই জ্বর নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। জ্বর কমানোর জন্য তাই প্রথমে দেহের তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামল বা এইস অথবা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কয়েকদিন খেলেই এ রোগ সেরে যায়। তবে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে।

জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে স্পঞ্জিং করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই পুরো শরীর ভেজা নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে একটানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং খুব ভালো বোধ করে আক্রান্ত রোগী।এ কাজে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে। খুব ঠাণ্ডা পানি আবার ব্যবহার করা ঠিক হবে না। আর শিশুদের ক্ষেত্রে পানিতে শিশুটিকে বসিয়ে স্পঞ্জ করাই সুবিধাজনক, তাই বড় কোনো গামলা ভর্তি করে পানি নেয়া উচি। স্পঞ্জিং আলো-বাতাসযুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ভালো কাজ দেয়।

জ্বরের সময় যতটা সম্ভব বিশ্রামে থাকতে পারলে ভালো। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এছাড়াও লেবুর রস মুখে রুচি আনতে সাহায্য করে তাই লেবু বা লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। ফলের মধ্যে আনারস, পেয়ারা বা আমলকি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার যেমন- আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি, কোল্ড ড্রিঙ্কস একেবারেই পরিহার করতে হবে।

জ্বর হলে, অন্যদের সঙ্গে বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে মেলামেশায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। হাঁচি দেয়ার সময় বা নাকের পানি মুছতে হলে রুমাল বা টিসু পেপার ব্যবহার করতে হবে এবং তা যেনো অন্য কেউ ব্যবহার না করে। যেখানে সেখানে কফ, থুথু বা নাকের শ্লেষ্মা একদম ফেলা যাবে না, এতে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্যকর, খোলামেলা, শুষ্ক পরিবেশে যেখানে আলো-বাতাস বেশি আসে এমন কক্ষে থাকতে হবে জ্বরের সময়।
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft