বঙ্গভঙ্গ, বাংলা ও বন্ধুরাষ্ট্র


শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ১২ অক্টোবর  ২০১৬

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার

বঙ্গভঙ্গ, বাংলা ও বন্ধুরাষ্ট্র

বঙ্গভঙ্গ, বাংলা ও বন্ধুরাষ্ট্র



এপার বাংলা, ওপার বাংলা- দুই বাংলায় ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হলেও ভাষা, সাংস্কৃতি, দৈহিক গঠন, খাদ্যাভ্যাস, আদি পেশা কৃষি (ক্ষেত্রবিশেষে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও) সব একই ধরনের এবং আত্মীয়তার প্রশ্নে উভয় দেশেই উভয়ের সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৭৫৭ সালে ২৩ জুন বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার শেষ অধিপতি আলীবর্দি খাঁর উত্তরাধিকারী নবাব সিরাজউদ্দৌলার যখন পতন হয়, তখনো প্রশাসনিক কাঠামোতে দুই বাংলা একত্রেই ছিল। ব্রিটিশ কলকাতাকে রাজধানী করে অবিভক্ত বাংলাকে শাসনকরত ১৯২১ সালের ২১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক প্রশাসনিক অনুমোদন লাভ করার আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দুই বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হতো। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত আমাদের দেশের ম্যাট্রিক পরীক্ষা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৯৪৯ সালে ঢাকা হাইকোর্ট আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করার আগে কলকাতা হাইকোর্টের অধীনেই এ দেশের বিচারব্যবস্থা পরিচালিত হতো।

১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই ভারতীয় উপমহাদেশকে দু'টি পৃথক রাষ্ট্র, অর্থাৎ ভারত ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিধান সৃষ্টি করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গৃহীত হয় ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইন। যথাক্রমে হিন্দু ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার ভিত্তিতে রাষ্ট্র দু'টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় পাঞ্জাব ও বাংলা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। এ আইনের ৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনস্থ বাংলা প্রদেশের অস্তিত্ব বিলোপ করা হয় এবং পরিবর্তে সৃষ্টি করা হয় পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম বাংলা নামে পৃথক দু'টি প্রদেশ। অনুরূপভাবে ৪(১) অনুচ্ছেদ বলে পাঞ্জাবের অস্তিত্ব বিলোপ করে গঠন করা হয় পূর্ব ও পশ্চিম পাঞ্জাব প্রদেশ। পূর্ব বাংলা ও পাঞ্জাব পশ্চিম পাকিস্তানের দু'টি পরিপূর্ণ প্রদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আসামের সিলেট জেলা পাকিস্তানে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং আইনের ৩(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ বলে পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের একটি অংশে পরিণত হয়।

পশ্চিম পাকিস্তানের অত্যাচার-শোষণের প্রতিবাদে স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু। সে সময় পাকিস্তান জিন্দাবাদের পরিবর্তে ‘জয় বাংলা' স্লোগানটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এ স্লোগানটি সরকারি মর্যাদায় অফিস-আদালত সব জায়গায়ই ব্যবহৃত হয় এবং ক্ষমতায় না থাকলে এটা তাদের দলীয় স্লোগান হিসেবে টিকে থাকে। অন্যান্য ডানপন্থী দল ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' ব্যবহার করে, বাম ও বামঘেঁষারা বলেÑ ‘বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।'

রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা' প্রথম দশ চরণ সংবিধানের ৪(১) অনুচ্ছেদ মোতাবেক জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা লাভ করে, যা সংবিধান প্রণয়নের আগেও আন্দোলন-সংগ্রামের সময় জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা পেয়েছিল।

চলতি সালে (২০১৬ সালে) ভারতের পশ্চিম বাংলা সরকার তাদের নাম পরিবর্তন বা সংশোধন করে ‘বাংলা' নামকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। পশ্চিম বাংলাকে যদি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলা' নামকরণ করা হয়, তবে বাংলাদেশের ‘জয় বাংলা' ও জাতীয় সঙ্গীতের ‘বাংলা' বলতে কোন বাংলাকে বুঝাবে? আমাদের দেশের পরিচিতি ও সার্বভৌমিকতার প্রশ্নে বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের দাবি রাখে।

বিশ্বরাজনীতি এখন গোয়েন্দাদের নিয়ন্ত্রণে এবং জাতীয় রাজনীতিও তারাই নিয়ন্ত্রণ করেন। পৃথিবীব্যাপী অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিবর্তন করতে গোয়েন্দাদের পরিকল্পনা ও প্রভাব কাজ করে। পশ্চিম বাংলার নাম পরিবর্তন করে বাংলা নামকরণে তাদের কোনো প্রভাব আছে কি না তা গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা দরকার রাষ্ট্রের নিজস্ব উদ্যোগেই। গোয়েন্দাদের কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না, এ জন্য প্রয়োজন নিবিড় পর্যবেক্ষণ।

ভারত বাংলাদেশ থেকে ট্রানজিটসহ চাহিদামতো সুবিধা পাচ্ছে। নেপালে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহার করা যায়। উপমহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র ভারত। বাংলাদেশ পাশের রাষ্ট্র হিসেবে অবশ্যই তার স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে; নতুন আর কিছু নিয়ে কথা উঠুক বা না উঠুক সার্বভৌমিকতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে। বিষয়টি এখনই ভেবে দেখা দরকার।

দেশ নিয়ে কথা বললেই অনেক ইতিহাস স্মরণে আসে। ১৯০৩ সালে পূর্ব বাংলা ও আসামকে সংযুক্ত করে আলাদা প্রদেশ করার জন্য বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের মুখে ব্রিটিশ সরকার ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ঢাকাকে রাজধানী করে পূর্ব বাংলা ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠন করে। বঙ্গভঙ্গের কারণে ১৯০৫ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত স্কুল-কলেজে ভর্তির হার ৩৫ শতাংশের ওপরে উঠে যায়। চট্টগ্রাম-রেঙ্গুন জাহাজ সার্ভিস চালু হয়েছিল। তখন পূর্ব বাংলা সচ্ছলতার দিকে এগিয়ে যায়। বঙ্গভঙ্গের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ। এ জন্য তাকে কুমিল্লায় হত্যার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। পশ্চিম বাংলার নেতাদের তীব্র আন্দোলনের কারণে ব্রিটিশ রাজা পঞ্চম জর্জ দিল্লির দরবার অনুষ্ঠানে ১৯১১ সালের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা দেন যা, ১৯১২ সালের ১ এপ্রিল কার্যকর হয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেছিলেন। বঙ্গভঙ্গ রহিত হওয়ার পর অনেক কড়া ভাষায় নওয়াব সলিমুল্লাহ ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছিলেন। ৪৪ বছর বয়সে ১৯১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি রহস্যজনকভাবে কলকাতার বাড়িতে নওয়াব সলিমুল্লাহ মৃত্যুমুখে পতিত হন। সিলগালা করে ব্রিটিশ পুলিশের তত্ত্বাবধানে কলকাতা থেকে তার লাশ ঢাকায় নদীপথে পাঠানো হয়। ব্রিটিশ পুলিশ এ দেশের জনগণকে তার লাশটি পর্যন্ত দেখতে দেয়নি। পুরান ঢাকার বেগম বাজারে ছয় মাস পর্যন্ত নওয়াব সলিমুল্লাহর কবর ব্রিটিশ পাহারায় ছিল।

ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর ভারতবর্ষের মুসলিম ও হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল সমন্বয়ে সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় জাতিসত্তার ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে ১৪ ও ১৫ আগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারত নামক দু'টি পৃথক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তখন ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত ৬৫০টি দেশীয় রাজ্যকে পাকিস্তান অথবা ভারতÑ এ দু'টি রাষ্ট্রের যেকোনো একটিতে যোগ দেয়ার অথবা স্বাধীনভাবে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল।

সে সিদ্ধান্তের আলোকে সিকিম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে থাকার ঘোষণা দেয়। সিকিমের রাজা ছিলেন জওয়াহেরলাল নেহরুর বন্ধু চোগিয়াল। তার নিরাপত্তার জন্য তিন শ' নিরাপত্তা কর্মী দিয়েছিলেন নেহরু। অপর দিকে লেন্দুপ দোর্জি ছিলেন সিকিম কংগ্রেসের নেতা এবং স্বাধীন সিকিমের প্রধানমন্ত্রী। লেন্দুপ দোর্জি নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন। তার পরও রাজপথে গণতন্ত্রের দাবি উঠল। এই দাবির পেছনে ছিল দিল্লির চক্রান্ত। হাজার হাজার লোক চোগিয়ালের বিরুদ্ধে এমনকি নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে গণতন্ত্রের দাবিতে ‘ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান দিয়ে সিকিম পার্লামেন্টের দিকে এগিয়ে যায়। ওদিকে সিকিম কংগ্রেসভুক্ত পার্লামেন্ট সদস্যরা ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব তোলেন। যারা রাজপথে গণতন্ত্রের জন্য ‘ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান দিয়েছে, ওরা নেহরু প্রেরিত কংগ্রেস কর্মী। তারা সিকিম ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার স্লোগান দিচ্ছিল। একই সময়ে নেহরু প্রেরিত রক্ষীরা নেহরুর বন্ধু চোগিয়ালের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তারা বন্দুক ঘুরিয়ে চোগিয়ালের দিকে তাক করে। তার কিছুই করার ছিল না। একই সময়ে সিকিমকে ভারতের সাথে যুক্ত করার প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাস হয়ে যাওয়ায় সিকিম ভারতের প্রদেশ হয়ে গেল। সিকিম এখন ভারতের ২৮ প্রদেশের একটি। একবার পত্রিকায় খবর ওঠে, লেন্দুপ দোর্জি দিল্লিতে নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছেন। ‘একদিন ভারতের বড় নেতারা আমার খোঁজখবর নিতেন, এখন বড় নেতা দূরে থাক, তৃতীয় গ্রেডের নেতাদের সাথেও আমি দেখা করতে পারি না'এ উক্তি লেন্দুপ দোর্জির। পরিণাম এত নির্মম হবে তা কি সে বুঝতে পেরেছিল? (সূত্র : জাতীয় পত্রিকা)।

আগে পূর্ব বাংলা, পরে পূর্ব পাকিস্তান হলেও আল্লাহর রহমতে বর্তমানে এটা ‘স্বাধীন বাংলাদেশ'। অনেক রক্তের বিনিময়ে এ বাংলাদেশ, অনেক সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদের ফসল বাংলাদেশ। চুনে মুখ পুড়লে দই দেখলেও যেমন ভয় করে, তেমনি সুজলা সুফলা বাংলাদেশ অন্য কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার হয় কি না এ মর্মে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয় বৈকি।

ব্রিটিশ আমল থেকেই বাংলাদেশ অবহেলিত। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানিদের খপ্পরে পড়ে দেশটি শোষিত হয়েছিল; এখন পাশের বন্ধুরাষ্ট্রের খপ্পরে পড়ে দেশটির সার্বভৌমিকতায় যেন কোনো কালিমা না পড়ে। গোটা বিশ্ব এখন রাজনীতিকায়নে মোহিত। এ মোড়ক (রাজনীতি) বিশ্বায়নকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। মায়া, মমতা, ভালোবাসা, সন্ধি, হামলা, আক্রমণ, রিলিফ, সাহায্য, সহযোগিতা প্রভৃতি আজ রাজনৈতিক মেরুকরণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ‘গণতন্ত্র', ‘মানবতা', ‘আইনের শাসন' প্রভৃতি কথা ডিকশনারি বা কাগজে-কলমে থাকলেও রাজনীতিই এর নিয়ন্ত্রক। এ কারণেই অস্থিতিশীল বিশ্ব আরো অস্থিতিশীল হচ্ছে। অনেক সময়ে খুনি নেতৃত্ব দিচ্ছে শোক মিছিলের, যার সমর্থন দিচ্ছে মিডিয়ার একটি বৃহৎ অংশ।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিকনফারেন্সে বলেছেন, ‘আপ সামঝে আপ একলা নেহি, হামভি আপকা সাথ হায়'। অর্থাৎ দুই দেশের বন্ধুত্ব কতটুকু গভীর তা-ই মোদি বোঝাতে চেয়েছেন।

ভারতীয় লেখক ও ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ বলেছেন, ভারত যত বেশি আওয়ামী লীগের পক্ষ অবলম্বন করবে, বাংলাদেশের জনগণ তত বেশি ভারতের প্রতি বৈরী হবে। অপর দিকে, সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘ থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘পাকিস্তানের সাথে ঝগড়াঝাটিও থাকবে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কও থাকবে।' বক্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু ভারতের একটি আগ্রাসনী চরিত্র রয়েছে। পাক হানাদার বাহিনীকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের প্রধান জেনারেল ওসমানীর নিকট আত্মসমর্পণ করতে দেয়া হয়নি। বরং পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে। পরে সিমলা চুক্তি মোতাবেক আত্মসমর্পণকারী পাক বাহিনী ভারতীয় বাহিনী থেকে মুক্তি লাভ করে। বাংলাদেশ সিমলা চুক্তির কোনো স্বাক্ষরদাতা বা পক্ষভুক্ত নয়।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৬৯ ধারার ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, ভারত ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্র বিদেশী রাষ্ট্র, কিন্তু ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনে কোনো রাষ্ট্রকে বিদেশী রাষ্ট্র নয় বলে ঘোষণা দিতে পারেন। কাশ্মির, সিকিম এক সময় স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল, এখন তারা ভারতের প্রদেশ মাত্র। ভারতের পার্শ্ববর্তী কোনো রাষ্ট্র যেন সংবিধানের ওই ক্ষমতা বলে তাদের রাষ্ট্রপতির কোপানলে না পড়ে, এটাই কাম্য।

লেখক : কলামিস্ট ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা

 
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft