দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্তকারীদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে : অর্থমন্ত্রী


শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৯  এপ্রিল  ২০১৭

দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্তকারীদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে : অর্থমন্ত্রী

দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্তকারীদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে : অর্থমন্ত্রী



দেশের উন্নয়ন যারা বাধাগ্রস্ত কিংবা প্রতিহত করতে চায়, তাদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন ।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে চোখ কান খোলা রেখে দেশের সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর রাজনীতি সচেতন হতে হবে, সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে হবে, এমন নয়। তবে সবারই রাজনীতি সচেতন হওয়া দরকার। তাহলেই কাক্সিক্ষত স্বপ্নের সোনার বাংলা সত্যে পরিণত হবে।

আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ¯œাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তিকৃত নবাগত শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের, ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা।

অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের জন্য উপস্থাপন করলে স্ব স্ব অনুষদের ডিন এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকগণ নবাগত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য বরণ করে নেন। উপাচার্য নবাগত শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

রাজনীতি কেবল রাষ্ট্র পরিচালনার মধ্যে সীমাবদ্ধ কোন ব্যাপার নয় উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, জীবনের সকল অনুষঙ্গই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা কিংবা অর্জন করে নেয়া যেমন রাজনীতি, তেমনি অন্যের অধিকার ও অর্জনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনও রাজনীতি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বর্তমান শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় সব বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নে নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাফল্য তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৩ হাজার ২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে। ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে জলসীমা চুক্তির বিরোধের নিষ্পত্তি, প্রতি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড, ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা, ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন এবং দারিদ্র্যের হার ২৪.৩ শতাংশে হ্রাসকরণ। তিনি বলেন, আমরা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমান সরকার মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ ডলারে উন্নীত করতে সমর্থ হয়েছে। আমাদের রয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলারের ওপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বাংলাদেশের লিঙ্গসমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমানোর সূচকের সাফল্যে বিশ্ব রীতিমতো বিস্মিত।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, তোমরা আজ জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত সমাজের নাগরিক। সমগ্র জাতির প্রত্যাশা, যে-জ্ঞান আজও রয়েছে মানুষের অধরা, যে-জগৎ এখনও অজানা, যে-সম্পদ এখনো অর্জন সম্ভব হয় নি, তা তোমাদের মাধ্যমে মানবসমাজের হাতে আসবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, মুক্ত ও বাধাহীন পরিবেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতে জ্ঞানচর্চা করতে পারেন, সমৃদ্ধ হতে পারেন প্রকৃত মানুষ হিসেবে তার জন্য প্রয়োজন গণতান্ত্রিক বিধি-বিধানের। সেইসব বিধি-বিধান ও শিক্ষা-গবেষণার পূর্ণ সুযোগসুবিধা এখানে বিদ্যমান। তোমরা সততার সঙ্গে এগুলোর ব্যবহার করে নিজেদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।বাসস
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft