তথ্যপ্রযুক্তির চার ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার


শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৩  জুন  ২০১৬

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী

তথ্যপ্রযুক্তির চার ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার

তথ্যপ্রযুক্তির চার ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার



অর্থবছরে ৪টি বিশেষ ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। বিষয় ৪টিকে তথ্যপ্রযুক্তির মৌলিক স্তম্ভ উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মৌলিক এ স্তম্ভগুলোকে শক্তিশালীকরণে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

চারটি মৌলিক ক্ষেত্র হলো- সরকারের দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধিতে ই-গভর্নেন্স, মানব সম্পদ উন্নয়নে ই-শিক্ষা, দেশীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ভোক্তা অধিকারসংরক্ষণে ই-বাণিজ্য এবং সরকারের সেবাগুলো জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে ই-সেবা কেন্দ্র গড়ে তোলা।

বাজেট (২০১৬-১৭) উপলক্ষে সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রা : হালচিত্র ২০১৬' শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছে। সেই পুস্তিকায় এ চারটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে।

এদিকে, সংসদে বাজেট (২০১৬-১৭) বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ ধারণার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হলে উন্নয়নের সব ধারায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে সম্পৃক্ত করতে হবে। সে জন্য প্রয়োজন হবে উপযুক্ত বিনিয়োগ। মৌলিক বিষয়গুলো নিশ্চিত করা গেলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই বিনিয়োগের প্রয়োগও নির্ধারিত হবে।

তবে অর্থমন্ত্রী বাজেট (২০১৬-১৭ অর্থ বছরের) ঘোষণার পরে তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কম্পিউটার ও কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট পণ্যে আমদানি শুল্কবৃদ্ধি এবং ই-কমার্স ও অনলাইন শপিংকে করমুক্ত সীমার বাইরে আনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এ খাতের সংশিষ্টরা। তারা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগের ফলে কম্পিউটারের দাম বাড়বে এবং ই-কমার্স খাতের প্রসার বাধাগ্রস্ত হবে। তাদের আশা, সরকার বাজেট পাসের সময় এ সিদ্ধান্তগুলো প্রত্যাহার করবেন।

এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাগো নিউজকে বলেন, দশম বারের মত পেশকৃত বাজেট  মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের পথে এবং ৭ শতাংশ উপরে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এ বৃহৎ বাজেট কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখবে।

বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বরাদ্দ বেড়েছে কিন্তু এখনো আমরা পরিষ্কারভাবে জানি না কোন কোন খাতের জন্য এ বরাদ্দ। ওভারঅল আমরা খুশি। কারণ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৪টি বিষয়কে মৌলিক স্তম্ভ বলে উল্লেখ করেছে।

শামীম আহসান আরো বলেন, অর্থ বিলে ই-কমার্স ও অনলাইন শপিং ২০২৪ সাল পর্যন্ত করমুক্ত বা কর অবকাশ সুবিধা ছিল। কিন্তু এবারের বাজেট প্রস্তাবে এ দুটি আইটেমকে করসীমার মধ্যে আনা হয়েছে।

এর ফলে ই-কমার্স অনলাইন শপিংয়ে পণ্য ও সেবাপণ্যের দাম বেড়ে যাবে উল্লেখ করে এ দুটি আইটেমকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করমুক্ত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ এইচ কাফি বলেন, কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, টোনার, কার্ট্রিজ, হার্ডডিস্ক, মডেম, ইউপিএস, আইপিএস, মোবাইল সিমসহ তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। কম শুল্কের পণ্যে এবার শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই এসব পণ্যের দাম বাড়বে।
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft