|
গোসল করার সঠিক নিয়মশীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৩০ আগস্ট ২০১৬ শরীর ও মনে প্রশান্তি এনে দেয় গোসল। কিন্তু অনেকেই গোসল করেন দায়সারাভাবে। পরিষ্কার হওয়া নিয়ে মাথাঘামান না। অথচ গোসল করার ক্ষেত্রে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জেনে নিন কিছু জরুরি বিষয়। * গোসলের ক্ষেত্রে হালকা গরম পানি নিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে আরাম আছে, কিন্তু ঠান্ডা পানি ত্বকের ক্ষতি করে। ত্বক রুক্ষ করে তোলে। ফলে হালকা গরম পানি ভালো। এতে ত্বকেরও ক্ষতি হবে না আবার ক্লান্তিও দূর হবে। যাদের ঘুমের সমস্যা, তাদের সকলেরই হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা ভালো। কিন্তু মাথা ধোয়ার সময় কিন্তু গরম পানি ব্যবহার করবেন না। ঠান্ডা পানিই ব্যবহার করুন। গরম পানি চুল রুক্ষ করে তোলে। * ত্বক অনুযায়ী সাবান ব্যবহার করুন। রুক্ষ ত্বকের জন্য গ্লিসারিনভিত্তিক সাবান আর তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মিল্ক সোপ। যাদের সাধারণ ত্বক, তারা যে কোনো সাবানই বেছে নিতে পারেন। * শরীর থেকে ময়লা দূর করতে স্ক্রাবিং খুব জরুরি। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক যাদের, সাবান মাখার সময় স্ক্রাবিং করে নিন লুফার সাহায্যে। এতে ময়লা দূর হয়। রোমকূপ থেকে অতিরিক্তি তেল বেরিয়ে আসে। তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার করতে স্ক্রাবার কাম বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। * স্ক্রাবিং করে সাবান মাখা হয়ে গেলে ভালো করে শরীর ধুয়ে নিন। এখানেই শেষ নয়। ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে তেল মাথা অত্যন্ত জরুরি। ৭০ শতাংশ মানুষ তেল মাখেন না। কিন্তু এটা খুব জরুরি। বিশেষ করে যাদের ত্বক রুক্ষ, তেল মাথা খুব জরুরি। বাজারে অনেক ধরনের বডি অয়েল কিনতে পাওয়া যায়। চন্দন দেওয়া বডি অয়েল বেছে নিন। মাখতে পারে অলিভ অয়েল। তা না হলে বাড়িতে রাখা সরষের তেলও মাখতে পারেন। * গোসলের সময় পায়ের গোড়ালি পরিষ্কার করাও প্রয়োজন। পায়ের পাতা ও তলার জন্য স্ক্রাবিংয়ের ব্যবস্থা করুন। বাজারে পিউমিক স্টোন কিনতে পাওয়া যায়। তার সঙ্গে ব্রাশও পাওয়া যায়। গোসল শেষে হাতে সামান্য শ্যাম্পু নিয়ে পায়ের গোড়ালি ও তলায় ভালো করে মাখিয়ে নিন। তারপর প্রথমে পিউমিক স্টোন ও ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করুন। দেখবেন পা ফাঁটার সমস্যা দূর হয়েছে নিমেষে। * শ্যাম্পু করার পরিকল্পনা থাকলে আগে শ্যাম্পু করা সেরে নিতে হবে। এসএলএস যুক্ত (সোডিয়াম লরাল সালফেট) শ্যাম্পু এড়িয়ে চলুন। এর সাহায্যে ক্ষণিকের জন্য চুল চকচকে হলেও চুলের ডগা ফাটিয়ে দেয়, স্বাভাবিক রঙও নষ্ট করে। চুলের ধরন বুঝে বেছে নিতে পারেন হারবাল শ্যাম্পু। * অনেকে মনে করেন শ্যাম্পু করা মানেই অনেকটা শ্যাম্পু নিয়ে ফেনা তৈরি করে চুলে লাগানো, আর তারপর ধুয়ে ফেলা। এটা কিন্তু সঠিক পদ্ধতি নয়। আগের দিন রাতে তেল মেখে পরদিন শ্যাম্পু করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। * প্রথমে ঠান্ডা পানি চুলে ধুয়ে মাথার তেল বের করে নিতে হবে। তারপর হাতে সামান্য শ্যাম্পু নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে হবে। ফেনা হতে শুরু করলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। চুলকে জটমুক্ত রাখতে কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। সামান্য কন্ডিশনার চুলে মাখিয়ে মিনিট দুই অপেক্ষা করুন। খেয়াল রাখবেন, চুলের গোড়ায় যাতে কন্ডিশনার না লেগে যায়। তারপর পানি দিয়ে পুরো চুল ধুয়ে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন। * শরীর পরিষ্কারের তোয়ালে আর মাথা মোছার তোলায়ে আলাদা করাই ভালো। । চুলসহ মাথার তালুতে এই চায়ের পানি মেখে ঘণ্টা খানেকের জন্য রেখে দিন। শ্যাম্পু ছাড়া কেবল ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। স্থায়ীভাবে চুল কালো হবে না কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য চুল কালো থাকবে। |
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft |