গুলশানে হলি আর্টিজান মামলায় হাসনাতকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে


শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১২  আগস্ট ২০১৬

 

গুলশানে হলি আর্টিজান মামলায় হাসনাতকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে

গুলশানে হলি আর্টিজান মামলায় হাসনাতকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে



রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় হাসনাত রেজা করিমকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে।

তার বিরুদ্ধে জঙ্গিদের সঙ্গে সখ্য ও সম্পর্ক থাকার পক্ষে বেশকিছু প্রমাণ পাওয়ার পর তদন্ত সংস্থা এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

তবে বিষয়টি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে দুই-একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট সূত্র জানিয়েছে।

ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। এখন তিনি রিমান্ডে রয়েছেন।

সন্দেহভাজন আসামি হাসনাত রেজা করিম ও অপর আসামি তাহমিদ হাসিব খানকে শনিবার ৮ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হবে। শুক্রবার তাদের রিমান্ডের শেষদিন।

৪ আগস্ট এ দুই আসামিকে ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। তাদের পুনরায় রিমান্ড চাওয়া হবে কিনা এ বিষয়ে কোনো তথ্য নিশ্চিত করেননি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

জানাতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। ৫ আগস্ট থেকে ৮ দিন হিসেব করে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। এর বেশিকিছু জানেন না তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, হাসনাত ও তাহমিদ গুলশানে হামলাকারী জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তারা এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে সেগুলো প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

হাসনাতকে মামলায় সরাসরি গ্রেফতার না দেখিয়ে ৫৪ ধারায় কেন গ্রেফতার দেখানো হল- জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাসহ অনেক দাগি আসামিকেও ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। হাসনাতের ক্ষেত্রেও শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রাপ্ত তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

তদন্ত সূত্র জানায়, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজা করিম নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরির একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তার সঙ্গে হিজবুত তাহরিরের মাঠ পর্যায়ের অনেকেরই সম্পর্ক ছিল। হিজবুত তাহরির সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন সময় হাসনাতকে সাহায্য করতেন তাহমিদ।

তাদের গুলশান ট্র্যাজেডি মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। হলি আর্টিজানে হামলার দিন জঙ্গিরা তাদের নিজস্ব যোগাযোগের জন্য ‘উইকার' নামে একটি অ্যাপস ব্যবহার করে। হাসনাত করিমের মোবাইলে ওই অ্যাপসটি পাওয়া গেছে। জঙ্গিরা রাত পৌনে ৯টায় হলি আর্টিজানে প্রবেশ করে। রাত ৮টা ৫৭ মিনিটে হাসনাত তার মোবাইলে উইকার ডাউনলোড করেন। এছাড়া হাসনাতকে ঘটনার দিন সাবলীল ও স্বাভাবিক দেখা গেছে। একপর্যায়ে হামলাকারী জঙ্গিদের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে কথাও বলেন। তাহমিদের হাতে একটি ছোট অস্ত্রও দেখা গেছে।

মামলার রিমান্ড প্রতিবেদন সূত্র জানায়, ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গুলশানের আড়ংয়ের সামন থেকে হাসনাতকে ও রাত পৌনে ৯টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তামহিমদে গ্রেফতার করা হয়।

১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ জন বিদেশী, তিনজন বাংলাদেশী ও দু'জন পুলিশ নিহত হন। পরদিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ৬ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে বেকারির শেফ সাইফুল চৌকিদারও রয়েছেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন শাওন নামের আরও এক কর্মচারী মারা যান।

 
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft