খাল দখল করে ভবন নির্মাণ


শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম।  ১৬   মার্চ  ২০১৬

খাল দখল করে ভবন নির্মাণ

খাল দখল করে ভবন নির্মাণ



চুঙ্গো'র খালের জায়গার উপর পাকা ঘর নির্মাণ করছেন ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর শহরের চৌগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দিনের পর দিন শত-শত মানুষের সামনে ঘটছে খাল দখলের এ ঘটনা।

এলাকাবাসী বলছে, প্রায় ২০ গ্রামের বাসিন্দাদের মাঠের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল এই চুঙ্গো'র খাল। এই খাল বন্ধ হয়ে গেলে কোটচাঁদপুর শহরের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। বর্ষা মৌসুমে কৃষকের মাঠের ফসল তলিয়ে যাবে। বাসাবাড়িতেও পানি প্রবেশ করবে। ২৫ ফুট দৈর্ঘ্য আর ৯ ফুট প্রস্থ জায়গা জুড়ে চলছে এই নির্মাণ কাজ। সেখানে দুইটি দোকান তৈরি করা হচ্ছে। এই ভবন তৈরি হলে খালের জায়গা অনেকটা ভরাট হয়ে যাবে। এতে খাল দিয়ে পানির প্রবাহ কমে যাবে।

তারা আরও জানান, কোটচাঁদপুর শহরের পূর্বাঞ্চলে গোবরডাঙ্গা, ঘিঘাটি, শাহাপুর, চাঁদপুর, বলাবাড়িয়া, নওদাগা, এলাঙ্গী, কাশিপুর, দাদপুরসহ প্রায় ২০টি গ্রাম রয়েছে। এই গ্রামগুলোর রয়েছে বিস্তর মাঠ। যেখানে কৃষকরা চাষাবাদ করেন। এছাড়া গ্রামগুলোর মাঝে রয়েছে একটি বিল, যার নাম চুঙ্গো'র বিল।

এলাকাবাসী আরও জানান, বর্ষা মৌসুমে এই গ্রামগুলো ও বিলের পানি বের হয় যে খাল দিয়ে তার নাম চুঙ্গোর খাল। এই খাল দিয়ে পানি চলে যায় কোটচাঁদপুর শহরের এক প্রান্ত দিয়ে বয়ে যওয়া কপোতাক্ষ নদে।

খাল দখলকারী শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘদিন ওই স্থানে টং দোকান দিয়ে ছিট কাপড়ের ব্যবসা করে আসছেন। দোকানটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পাকা ঘর তৈরি করার ইচ্ছা নিয়ে কাজে হাত দিয়েছেন। এজন্য তিনি জেলা পরিষদ থেকে এক বছরের জন্য জায়গাটি বরাদ্ধ নিয়েছেন। সেখানে টিন শেডের ঘর করার অনুমতি দিয়েছেন। তিনি পিলার উঠিয়ে উপরে টিন দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করছেন। এক বছরের চুক্তিতে টং দোকানের পরিবর্তে পাকা ঘর কিভাবে করছেন জানতে চাইলে পুনরায় বরাদ্ধ নেবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেব প্রসাদ পাল জানান, খালের জায়গা দখল হলে বৃহৎ একটি এলাকার পানি নিষ্কাশন বন্ধ হবে। সৃষ্টি হবে জলাবদ্ধতা। যে কারণে জেলা পরিষদকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft