|
ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বললেনশীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৭ এপ্রিল ২০১৭ দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন যথাসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনে অনুষ্ঠিত হবে। তাই এখন থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরের মুজিবনগরে শেখ হাসিনা মঞ্চে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগরের যে আমবাগানে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার শপথ নিয়েছিল সেখানেই অনুষ্ঠান করে আওয়ামী লীগ। মুজিবনগর দিবস পালন কমিটির আহবায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আব্দুর রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মামুন স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে ইস্যু তৈরির কারখানা। এখন চলছে তাদের ভারতবিরোধী ইস্যু। আগেও তারা অনেক ইস্যু তৈরি করেছে। কিন্তু কোনোটাই জনগণকে খাওয়াতে পারেনি। এখন নির্বাচন নিয়ে নতুন ইস্যু তৈরির ষড়যন্ত্র করছে। তবে এটাতেও ব্যর্থ হবে দলটি। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুজিবনগরে সরকার গঠন করে আমরা শপথ নিয়েছিলাম দেশকে শত্রুমুক্ত করব। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে মোকাবিলা করে বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দীর্ঘ একুশ বছর এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী দেশীয় শত্রুরা এখনও নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ওবায়দুল কাদের বলেন, ওপার বাংলার পলাশীর আম্রকানন, এপার বাংলার মুজিব নগর অাম্রকানন। ১৯৫৭ সালে ওপার বাংলার অাম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয় আর ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়। মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেন, সংবিধানের আলোকেই সঠিক সময়েই নির্বাচন হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিজয় ছাড়া বিকল্প নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জঙ্গিবাদ বিরোধী আন্দোলনের একমাত্র নেত্রী। এ ব্যাপারে বিএনপির সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পর্ক আছে। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিল যারা পালন করে না, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা লালন করে, ১৭ এপ্রিলের প্রথম সরকার গঠনের চেতনাকেও লালন করতে হবে। যারা করে না, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই প্রকারান্তরে অস্বীকার করে। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে এবং নিজামি মুজাহিদদের রাজনৈতিক পুনবার্সন করে খুনি জিয়া প্রমাণ করেছেন তিনি পাকিস্তানের চর ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদ নাসিম, ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের নেতারা মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর আম্রকাননে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন তাঁরা। অভিবাদন শেষে আনসার-ভিডিপির একটি দল ‘হে তারুণ্য রুখে দাঁড়াও' শিরোনামে গীতিমাল্য উপস্থাপন করে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে শেখ হাসিনা মঞ্চে শুরু হয় আলোচনা সভা। |
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft |