|
এক বস্তা পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৪ জুন ২০১৬ অতিরিক্ত আমদানি, সীমান্তের ওপারে যানজট ও গরমে ট্রাকে ও গুদামে পচন ধরেছে পেঁয়াজে। বাধ্য হয়ে কেজিতে ৯ টাকা লোকসানে বিক্রি করছেন আমদানিকারক ও বগুড়ার রাজাবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ৫০ কেজির এক বস্তা ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। খুচরায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২ থেকে ৫ টাকায়। সপ্তাহ ধরে চলছে পেঁয়াজের এ দরপতন। রাজাবাজারের মরিয়ম ট্রেডার্সের মালিক রাজু হাজী জানান, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ১১ টাকা কেজিতে। পচে যাওয়ায় এ পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে গড়ে প্রতি কেজি ২ টাকা ও তারো কমে। কেজিতে লোকসান হচ্ছে কমপক্ষে ৯ টাকা। যানজটের কারণে বগুড়ার ২০ আমদানিকরকের পেঁয়াজ আমদানি করে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে। পদ্মা সেতুর পাথর বোঝাই ট্রাকের ভিড়ে ভোমড়া, সোনামসজিদ, বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর থেকে বগুড়া পৌঁছতে শত শত পিয়াজবাহী ট্রাক বগুড়া মোকামে আসতে চার-পাঁচ দিন সময় লাগছে। অথচ এসব ট্রাক ২৪ ঘণ্টায় স্থলবন্দর থেকে বগুড়া মোকামে পৌঁছার কথা। ভারতের সীমান্তে পিয়াজবাহী ট্রাকগুলো থামিয়ে পাথরবোঝাই ট্রাকগুলো পার করছে। এতে পিয়াজ নিয়ে ভারতের রাস্তাতেই তিন দিন দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ছেড়ে দেয়ার পর নির্দিষ্ট মোকাম পর্যন্ত আসতে আরো একদিন সময় লাগছে। ওই কারণে রাস্তাতেই পচে যাচ্ছে বেশির ভাগ পিয়াজ। আনলোড করার পর এসব পচা পিয়াজ নির্ধারিত দামে কেউ কিনছেন না। ফলে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় মহাজনরা। অতিরিক্ত গরমে পচন ধরছে পিয়াজে। বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আমদানিকারক মহাজনদের। বগুড়ার পাইকারি বাজারে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ ট্রাক পিয়াজ ভারত থেকে আসে। প্রতি ট্রাকে ২০ থেকে ২৫ টন পিয়াজ থাকে। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন বাজারের চাহিদা পূরণ করে বগুড়া রাজাবাজারের পিয়াজ। প্রতিদিন আশপাশের জেলার খুচরা বিক্রেতারা এ বাজার থেকে পিয়াজসহ অন্যান্য কাঁচামাল নিয়ে থাকে। শহরের রাজাবাজার, ফতেহআলী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি দেশী পিয়াজ খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ভারতীয় পিয়াজ ২ থেকে ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে এ মূল্য আরো কম। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশে পিয়াজের উৎপাদন হয় গড়ে ১৮ থেকে ১৯ লাখ টন। চাহিদা ২৪ থেকে ২৫ লাখ টন। বাকি ৬ থেকে ৭ লাখ টন পিয়াজ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। বগুড়া অঞ্চলের আমদানিকারকেরা প্রতি বছর দেড় থেকে দুই লাখ টন পিয়াজ আমদানি করেন। রাজাবাজারের খুচরা বিক্রেতা কামরুজ্জামান এবং খায়রুল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে ভারতীয় পেয়াজ বেশি আমদানি হয়েছে ফলে মহাজনদের গুদামে পিয়াজে পচন ধরেছে। তাই তারা কম দামে ছেড়ে দিচ্ছে। তারা আরো জানান, ৫০ কেজি বস্তা পিয়াজ তারা পাইকারি কিনছেন ৬০-৭০ টাকায়। খুচরা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি জাতভেদে ২-৫ টাকায়। এ দিকে ভারতীয় পিয়াজের মূল্য ধসের প্রভাব পড়েছে দেশী পিয়াজেও। মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই দেশী পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। |
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft |