|
ইসলামী ব্যাংক বদলে দিলো ১০ লক্ষ পরিবারের জীবনশীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৭ আগস্ট ২০১৬ ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের (আরডিএস) আওতায় দেশের ২০ হাজার গ্রামের ১০ লাখ পরিবারকে দেশের অর্থনীতির মূলধারায় সম্পৃক্ত করেছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগে এক সময়ের অনাহারে থাকা পরিবারগুলো সাবলম্বী হয়ে উঠছে। জীবনমানের উন্নয়ন করে এখন তারা দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। সম্প্রতি ২০১৬ ব্যাংকের সৈয়দপুর (নীলফামারী) শাখা আয়োজিত পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে জীবন পরিবর্তনের বিভিন্ন সফলতার গল্প তুলে ধরেন নুরবানু, গীতা রানী, আবদুস সালাম, মাজহারুল ইসলামসহ অনেকে। এদের মধ্যে জীবন পরিবর্তনের অন্যতম সৈয়দপুরের নুরবানু বেগম। জীবনের সফলতার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, ‘ইসলামী ব্যাংকের আরডিএস থেকে প্রথমে ৬ হাজার টাকা বিনিয়োগ নিয়ে ১টি গাভী কিনি। সেই গাভী থেকে ৬টি গাভী হয়। দ্বিতীয় দফায় ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ নিয়ে ১টি সেলাই মেশিন কিনে দর্জির কাজ শুরু করি। এ কাজেও সফল হই। স্বপ্ন দেখি বড় কিছু করার। তৃতীয় দফায় ৮০ হাজার টাকার বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে কৃষিজ পণ্যের ব্যবসা শুরু করি। এখন আমি এলাকার ব্যবসায়ী। আমার এক ছেলে অনার্স পড়ছে আর দুই মেয়ে স্কুলে। বাড়িতে পাকা ঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মাণ করেছি। সুখেই কাটছে আমার দিনগুলো। অথচ এক সময় ছেলেমেয়ে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করেছি। ইসলামী ব্যাংক আমার জীবনকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।' ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম ও পরিচালক প্রফেসর ডা. কাজী শহিদুল আলম। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেভেলপমেন্ট উইংপ্রধান মো. মোশাররফ হোসাইন, রংপুর জোন প্রধান মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ ও রুরাল ডেভেলপমেন্ট ডিভিশন প্রধান মো. মাহবুব আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সৈয়দপুর শাখার ২৫০ জন আরডিএস সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এসময় ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার বলেন, প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, সম্পদ বিকেন্দ্রীকরণ, বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক কাজ করছে। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাংক ২০ হাজার গ্রামের ১০ লক্ষ পরিবারকে দেশের অর্থনীতির মূলধারায় সম্পৃক্ত করেছে। তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। ফলে তারা দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম বলেন, ইসলামী ব্যাংক ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ণ করে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি গ্রামে ও জনপদে এ প্রকল্পের কাজ সম্প্রসারণ করা হবে। প্রফেসর ডা. কাজী শহিদুল আলম বলেন, ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ দারিদ্র্য দূরীকরণসহ পল্লী জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছে। তিনি বলেন, এ ব্যাংক দেশের সকল গণ মানুষের ব্যাংক হিসেবে প্রতিটি নাগরিকের প্রয়োজন পূরণে কাজ করছে। মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, শরিয়ার উদ্দেশ্যের আলোকে ন্যায়ভিত্তিক সম্পদ বণ্টন ও সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে ইসলামী ব্যাংকের আরডিএস প্রকল্প। তিনি বলেন, বিশ্বের ইসলামিক মাইক্রো ফাইন্যান্সের অর্ধেকই পরিচালিত হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের আরডিএস প্রকল্পের মাধ্যমে। |
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft |