অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়


শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়



অ্যালার্জি, স্ট্রেস, বায়ু দূষণ, ঠান্ডা বাতাস, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, তীব্র আবেগ, সংরক্ষিত খাদ্য ও অন্য কোন অসুখের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণে অ্যাজমা হতে পারে। এছাড়াও জিনগত কারণে, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী অ্যালার্জি এবং অত্যধিক ধূমপান অ্যাজমা সৃষ্টির জন্য দায়ী। শ্বাসকষ্ট, কাশি,বুক ভারী হয়ে থাকার অনুভূতি এগুলো অ্যাজমার লক্ষণ। অ্যাজমার চিকিৎসায় ইনহেলার ও ঔষধ দেয়া হয়ে থাকে যা বেশ দামী ও দীর্ঘদিন ব্যাবহার করতে হয়। যদি আপনি ইনহেলার ও ঔষধের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে কিছু প্রাকৃতিক উপায় আছে যার মাধ্যমে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়-

আদায় এমন অনেক উপাদান আছে যা অ্যাজমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। আদার প্রদাহ রোধী উপাদান শ্বাসনালীর সংকোচন রোধ করে ও শ্বাস নালীর প্রদাহ কমায়। বর্তমানের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে আদায় এমন কিছু উপাদান আছে যেটা শ্বাস নালীর পেশীকে শিথিল করতে পারে যা শ্বাসকষ্টের সময় সংকুচিত হয়ে যায়।তাই শ্বাস কষ্ট কমাতে প্রতিদিন ২ কাপ আদা চা খান। আদার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

যখনই অ্যাজমার শ্বাসকষ্ট শুরু হবে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত হয়ে বসুন। আপনার চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিন ও কল্পনা করার চেষ্টা করুন যে আপনার ফুসফুসটি প্রসারিত হচ্ছে ও সাদা আলোতে ভরে যাচ্ছে এবং আপনার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হচ্ছে।এভাবে দুইবার করুন তারপর আপনার চোখ খুলুন। এভাবে চর্চা করলে আপনি অনেক ভালো অনুভব করবেন।

কফির ক্যাফেইন রাসায়নিক ভাবে থিওফিলিন এর মত, যা অ্যাজমার একটি ভালো ঔষধ এবং এটি বায়ু চলাচলের পথকে পরিস্কার করে। তাই এক কাপ গরম কফি খেতে পারেন।

হলুদে প্রদাহরোধী উপাদান আছে। প্রাথমিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, হলুদের গুঁড়া অ্যাজমা উপশম করতে পারে। ১ কাপ দুধে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।
উপদেষ্ঠা সম্পাদক: রিন্টু আনোয়ার ,সম্পাদক: আবুল মনসুর আহমেদ, ঠিকানা : ৩৪, বিজয় নগর, ৪র্থ তলা, ঢাকা।, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৫৩-৪১৭৬৭৬, ইমেইল : sheershareport@gmail.com. Developed by: R-itSoft